দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা রাজ্য জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনাটি এমন একটি এলাকায় ঘটেছে, যা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা ভবনের খুবই কাছাকাছি। ফলে, এতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানের আশেপাশেও কেন এমন চরম অপরাধ ঘটতে পারল, তা নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে।
গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির দূরত্ব:
পুলিশ ও প্রশাসনিক পরিকাঠামো থেকে ঘটনার স্থানের দূরত্ব দেখলেই নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে:
CRPF ক্যাম্প: ঘটনাস্থল থেকে মোহনবাগান অ্যাভিনিউ ধরে মাত্র ১.৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সিআরপিএফ ক্যাম্প।
নিউ টাউনশিপ থানা: দূরত্ব মাত্র ৫.১ কিলোমিটার।
দুর্গাপুর থানার ‘B’ জোন আউটপোস্ট: দূরত্ব ৪.৬ কিলোমিটার।
দুর্গাপুর থানা ও পুলিশ কমিশনারেটের DC ইস্টের অফিস: দূরত্ব ৭.৪ কিলোমিটার।
জমজমাট সিটি সেন্টার: শহরটির অন্যতম ব্যস্ত এলাকা থেকে দূরত্ব মাত্র ৮.৪ কিলোমিটার।
আলো ও সিসিটিভি-র অভাব:
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তার প্রাথমিক পরিকাঠামোই কার্যত অনুপস্থিত। মোহনবাগান অ্যাভিনিউ এবং জওহরলাল নেহরু রোডের সংযোগস্থল থেকে আই কিউ সিটি হাসপাতালের মাঝে প্রায় ৩.৯ কিলোমিটার রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে মাত্র ২টি।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, স্থানীয়দের দাবি, রাস্তার দু’ধারে লাইটপোস্ট থাকলেও অধিকাংশ পোস্টে আলো জ্বলে না। ফলে রাতে রাস্তাটি সম্পূর্ণ অন্ধকারে ডুবে থাকে, যা দুষ্কৃতীদের অপরাধ করার সাহস জুগিয়েছে। একাধিক প্রশাসনিক ভবন ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও এই এলাকায় সিসিটিভি এবং পর্যাপ্ত আলোর অভাব নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।