BJP-এবার নতুন রাজ্য কমিটির অপেক্ষায়, শমীক ভট্টাচার্যর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ

বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে শমীক ভট্টাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার দু’মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও নতুন রাজ্য কমিটি গঠিত হয়নি। এমনকি জেলা কমিটিগুলির রদবদলও থমকে আছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দ্রুত সাংগঠনিক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য চাপ দিলেও, রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরের মতে, শুধু কমিটি তৈরি করলেই হবে না, কয়েকটি জেলায় সভাপতি পরিবর্তন করাও জরুরি। তাদের আশঙ্কা, তা না হলে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনা, বীরভূম, কলকাতা এবং শহরতলির অনেক আসনে বিজেপি প্রার্থীরা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকতে পারবেন না।

গত ১ থেকে ৪ অগাস্ট পর্যন্ত সল্টলেকে রাজ্য দপ্তরে জেলা কমিটি গঠনের বিষয়ে দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বেশিরভাগ বৈঠকেই শমীক ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। সূত্র অনুযায়ী, জেলাগুলি থেকে আসা সম্ভাব্য পদাধিকারীদের নামের তালিকা যাচাই করতে গিয়ে শমীক এবং তার দল লক্ষ্য করেন যে, বেশ কিছু তালিকা স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে।

রাজ্য সভাপতি হিসেবে শমীক বারবার আদি-নব্য দ্বন্দ্ব দূর করে একটি ঐক্যবদ্ধ দল গঠনের বার্তা দিয়েছেন, যেখানে নতুন বা পুরোনো বলে কোনো বিভাজন থাকবে না। কিন্তু জেলা থেকে আসা পদাধিকারীদের তালিকা দেখে বোঝা যায়, অনেক জেলার সভাপতিই তার এই বার্তা গুরুত্ব দেননি। অন্তত সাত-আটটি জেলা থেকে যে তালিকা জমা পড়েছে, সেখানে শুধু সভাপতি ঘনিষ্ঠদেরই জায়গা দেওয়া হয়েছে, যার ফলে অনেক যোগ্য এবং পুরোনো নেতা-নেত্রী বাদ পড়েছেন।

শমীক ঘনিষ্ঠ এক শীর্ষ নেতার কথায়, “জেলা সভাপতি যদি দলের সবাইকে নিয়ে চলতে না পারেন, তবে সংশ্লিষ্ট জেলায় তার নেতৃত্বে ২৬-এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই কীভাবে সম্ভব? অবিলম্বে ওই জেলাগুলির সভাপতি পরিবর্তন করা প্রয়োজন।”

তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দলের একাংশের মধ্যে ভিন্নমতও রয়েছে। মাত্র তিন-চার মাস আগেই সাংগঠনিক নির্বাচনের মাধ্যমে সব জেলায় সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। তাই হঠাৎ করে কোনো নির্বাচিত সভাপতিকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া কতটা ‘গণতান্ত্রিক’ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী, রাজ্য সভাপতির হাতে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে। তাই সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণ দেখিয়ে শমীক যদি কিছু জেলার সভাপতিকে পদ থেকে সরিয়ে দেন, তাহলে দলের ভেতরে এর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে খুব বেশি প্রতিবাদ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই অচলাবস্থা দ্রুত কাটিয়ে ওঠা না গেলে তা দলের নির্বাচনী প্রস্তুতিকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy