দীর্ঘ ৪৬ বছর পর সম্প্রতি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে, যা থেকে বিপুল পরিমাণ মূল্যবান রত্ন ও গহনা উদ্ধারের খবর ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও পুরী মন্দির কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি, তবে উদ্ধারকৃত সম্পদের প্রকৃত মূল্য নিরূপণ নিয়ে ধন্দে পড়েছে মন্দির কমিটি। এই জটিল কাজটি সমাধানে এবার পুরীতে আসছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল।
উদ্ধার হওয়া এই সমস্ত মূল্যবান রত্ন ও গহনার বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী মোট মূল্য কত, তা হিসাব কষে দেওয়ার জন্যই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের এই প্রতিনিধি দল পুরী যাবে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের দুজন বিশেষজ্ঞ কর্মীর কাঁধে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজের ভার দিয়েছে।
ওড়িশার আইন মন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের অনুরোধেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের দুজন কর্মীকে এই কাজের জন্য পাঠাতে রাজি হয়েছে। প্রথমত, উদ্ধার হওয়া রত্ন ও গহনাগুলিকে রত্নভাণ্ডারেরই একটি গোপন ঘরে স্থানান্তরিত করা হবে। এরপর আমরা রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বেছে নেওয়ার আর্জি জানাব।”
ঐতিহ্যগতভাবে, এই রত্নভাণ্ডারে প্রভু জগন্নাথ, বলরাম এবং দেবী সুভদ্রার বিভিন্ন মূল্যবান গহনা ও রত্ন সংরক্ষণ করা হয়। শত শত বছর ধরে এই অমূল্য সামগ্রীগুলি এখানে সুরক্ষিত রয়েছে। শেষবার রত্নভাণ্ডারের তহবিল এবং সম্পদের হিসাব করা হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। তারপর কেটে গেছে দীর্ঘ ৪৭টি বছর, এবং এই বছর আবার তার দ্বার উন্মোচিত হওয়ায় নতুন করে সম্পদের পরিমাণ ও মূল্যের হিসাব নিকাশ শুরু হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই পদক্ষেপ রত্নভাণ্ডারের সম্পদের স্বচ্ছতা এবং সঠিক মূল্যায়নে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।