বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ২৪৩টি আসনেই প্রার্থী দিচ্ছে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের নতুন রাজনৈতিক দল ‘জন সুরাজ পার্টি’। পিকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দল অন্য কোনও পার্টির সঙ্গে জোট করবে না। তার দাবি, এনডিএ (NDA) এবং ইন্ডি (INDIA) জোট দুটোই হলো ‘দুর্নীতিবাজদের সমাবেশ’। তবে নিজের দলের বিপুল প্রচারের খরচের উৎস নিয়ে ওঠা প্রশ্নের কড়া জবাব দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।
দলের অর্থের উৎস নিয়ে জবাবদিহি
জন সুরাজ পার্টির প্রচারে জৌলুস এবং বিপুল খরচের উৎস নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুললে, প্রশান্ত কিশোর নিজের আয়ের হিসাব প্রকাশ করে দেন। তিনি দাবি করেছেন:
মোট আয়: শুধু গত তিন বছরেই তিনি নির্বাচন সংক্রান্ত পরামর্শ (Consultancy) দিয়ে ২৪১ কোটি টাকা রোজগার করেছেন।
ট্যাক্স ও জিএসটি: এর মধ্যে তিনি ৩১ কোটি টাকা জিএসটি এবং ২০ কোটি টাকা আয়কর বাবদ দিয়েছেন।
দলে দান: বাকি টাকা থেকে ৯৮ কোটি টাকা তিনি সরাসরি নিজের দল ‘জন সুরাজ’-কে দান করেছেন।
প্রশান্ত কিশোর দাবি করেন, তাঁর দলের খরচ-খরচা যে কেউ খতিয়ে দেখতে পারেন।
বিজেপিকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত বলার কারণ
বিহারে আরজেডি (RJD)-কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে যখন লালু প্রসাদ যাদবের পশু খাদ্য কেলেঙ্কারি এবং তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা বিচারাধীন, তখন প্রশান্ত কিশোর কেন বিজেপিকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দল বলছেন, সেই প্রশ্নের জবাবে পিকে কড়া ভাষায় পদ্মশিবিরকে নিশানা করেন।
জন সুরাজ পার্টির প্রধানের বক্তব্য:
দুর্নীতির মাত্রা: বিজেপির দুর্নীতির সঙ্গে আরজেডি এবং কংগ্রেসের দুর্নীতির কোনও মিল নেই। পদ্মপার্টি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
নীতীশ সরকারের ব্যর্থতা: তিনি নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar) নিশানা করে বলেন, নীতীশ তিনটি ‘সি’ (Corruption, Crime and Communalism) নিয়ে বড়াই করতেন, কিন্তু তিনি কোন ‘সি’-ই রক্ষা করতে পারেননি।
আইনশৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িকতা: পিকে-র অভিযোগ, বিজেপি ও জেডিইউ-এর দুর্নীতি মাত্রা ছাড়িয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেহাল, এবং নীতীশের নতুন করে বিজেপির হাত ধরা সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে আপোস ছাড়া কিছু নয়।
প্রশান্ত কিশোরের এই ঘোষণা এবং দুই প্রধান জোটের বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ আসন্ন বিহার নির্বাচনকে আরও উত্তপ্ত করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।