৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল, আবেগপ্রবণ পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল এই জয় উৎসর্গ করলেন মুখ্যমন্ত্রীকে

৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বহাল রাখার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের ঐতিহাসিক রায়ের পর এই নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে স্বস্তি মেলার পর তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

পর্ষদ সভাপতি এই জয়কে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে উৎসর্গ করেছেন। তিনি বলেন, “যিনি না থাকলে সুস্পষ্টভাবে কিছুই হত না, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি পর্ষদের সভাপতি হিসাবে সরকারের অংশ হিসাবে এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করছি।”

তিনি কৃতজ্ঞতা জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও। তাঁর কথায়, “২০২৩ সালে যেদিন শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হয় তারপর থেকে যেভাবে মন্ত্রী উপদেশ নির্দেশ দিয়েছেন। ব্রাত্য বসু না থাকলে বিজয়ের দোরগোড়ায় থাকতে পারতেন না। আমি ওঁকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।”

ব্যক্তিগত ঝক্কি এখন অতীত:

স্মরণীয় যে, ২০২৩ সালে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের পর কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি গৌতম পালকে। তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে সিবিআই দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সময় রক্ষাকবচের জন্য তাঁকে ‘সুপ্রিম’ দুয়ারেও যেতে হয়েছিল। প্রায় দু’বছর পর এই মামলায় স্বস্তি মেলায় তিনি আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন।

উল্লেখ্য, ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি বহাল রাখার ক্ষেত্রে মানবিক পর্যবেক্ষণ করে জানায়, দীর্ঘ ৯ বছর চাকরি করার পর চাকরি বাতিল হলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে এবং যাঁরা সফল হননি তাঁদের জন্য সবার ক্ষতি করা যায় না।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy