বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ও সফল অভিনেতা অক্ষয় কুমার শুধু তাঁর কাজের জন্যই নয়, কঠোর নিয়মানুবর্তিতার জন্যেও সুপরিচিত। দীর্ঘ তিন দশকের বেশি সময় ধরে বলিউডে কাজ করলেও, তিনি লাইমলাইট থেকে দূরে থেকে নিজেকে ও পরিবারকে সময় দিতে ভালোবাসেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয় কুমার তাঁর এই কঠোর জীবনধারা এবং ফিটনেসের গোপন রহস্য ফাঁস করেছেন।
সন্ধ্যা ৬:৩০-এর পর ডিনার বন্ধ
অক্ষয় কুমারের জীবনযাত্রার সবচেয়ে কড়া নিয়ম হলো— সন্ধ্যা ৬:৩০-এর পর তিনি আর কিছুই খান না! এই নিয়ম তিনি গত ২০ বছর ধরে মেনে চলছেন।
অক্ষয় জানান, তিনি ক্যালোরি বা প্রোটিন গুনে খাবার খান না, বরং সাধারণ মানুষের মতোই জিলিপি থেকে লুচি সবকিছুই খান। তবে নির্দিষ্ট সময়ে ডিনার বন্ধ করার মাধ্যমে তিনি নিজেকে একটি কঠোর ডায়েটের মধ্যে রাখেন। অভিনেতা বলেন, “আমি সেই রকম মানুষ নই যে বারবার একটি খাবার খেয়ে ক্যালোরি অথবা প্রোটিন গণনা করব। তবে সন্ধ্যে ৬:৩০ টার পর থেকে আমি আর খাবার খাই না। প্রায় ২০ বছর ধরে এই নিয়ম আমি অনুসরণ করছি।”
পার্টি এবং মদ্যপান থেকে দূরে
সাধারণ বলিউড পার্টি এবং জৌলুসপূর্ণ জীবন থেকেও নিজেকে দূরে রাখেন অক্ষয়। তিনি কোনও পার্টিতে গেলেও সেখানে তরল পানীয় থেকে নিজেকে দূরে রাখেন।
তিনি বলেন, “আমি পার্টিতে হয়তো কখনও সৌজন্যের জন্য কেক খাই অথবা টোস্ট খাওয়ার ভান করে থাকি কিন্তু সেটা আমি উপভোগ করি না। বহু বছর হয়ে গেল আমি মদ্যপান করিনি। আমি এই ভাবেই নিজের জীবন একটি নিয়মের মধ্যে বেঁধে রেখেছি।” এই নিয়ম-শৃঙ্খলাই তাঁর ফিটনেস এবং সুস্থ থাকার মূল মন্ত্র।
৩৮ বছরের কেরিয়ারে ভাগ্যের ভূমিকা
সম্প্রতি সিনেমা জগতে ৩৮ বছর পূর্ণ করেছেন অক্ষয় কুমার। এত দীর্ঘ সময় ধরে নিজেকে সফলভাবে টিকিয়ে রাখার জন্য তিনি শুধু কঠোর পরিশ্রম নয়, ভাগ্যকেও দায়ী করেছেন। অক্ষয় বলেন, “এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমার থেকে সুন্দর এবং প্রতিভাবান ব্যক্তি অনেকেই আছেন। কিন্তু সত্যি আমি ভাগ্যবান যে সঠিক সময় আমি সঠিক জায়গায় এসে পড়েছি।”
প্রসঙ্গত, অক্ষয় কুমারকে সর্বশেষ ‘জলি এল এল বি ৩’ ছবিতে আরশাদ ওয়ার্সির সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে, যা বক্স অফিস থেকে ৯৩.২৫ কোটি টাকা আয় করেছে।