তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বিদ্রোহের সুর আরও চড়া করলেন ভরতপুরের বিতর্কিত বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। হুমায়ুনের সাফ দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখে মুসলমান তোষণের কথা বললেও বাস্তবে তিনি সনাতনীদের তোষণ করতেই ব্যস্ত। দলনেত্রীর বিরুদ্ধে এমন সরাসরি আক্রমণ তৃণমূলের অন্দরে বড়সড় কম্পন সৃষ্টি করেছে।
মুর্শিদাবাদের রাজনীতির সমীকরণ নিয়ে হুমায়ুন কবীর এদিন তৃণমূল নেতৃত্বকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আগামী নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের প্রতিটি আসন তৃণমূলের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে।” এখানেই শেষ নয়, তৃণমূলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম ভবিষ্যদ্বাণী করে তিনি বলেন, “হুমায়ুন কবীর বেঁচে থাকতেই এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের পতন ঘটবে।” মূলত দলের প্রতি দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকেই যে তিনি আজ চরম অবস্থান নিয়েছেন, তা তাঁর শরীরী ভাষায় স্পষ্ট ছিল।
রাজনৈতিক মহলের মতে, হুমায়ুন কবীরের এই মন্তব্য কেবল দলবিরোধী নয়, বরং ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে ভাঙন ধরার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সংখ্যালঘু ভোটকে কেন্দ্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রণকৌশলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এখন আর দলের অনুশাসন মানতে রাজি নন। এখন দেখার, এই চরম বিদ্রোহের পর তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁর বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে কি না।