ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আইটি সংস্থা ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির নাতি একাগ্র রোহন মূর্তি সম্প্রতি সংস্থার ডিভিডেন্ড থেকে ৬.৫ কোটি টাকা আয় করে শিরোনামে এসেছেন। মাত্র ১৮ মাস বয়সেই একাগ্রের মোট সম্পদ কয়েকশো কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
একাগ্রের বয়স যখন মাত্র ৪ মাস ছিল, তখন নারায়ণ মূর্তি তাকে ২৪০ কোটি টাকা মূল্যের ইনফোসিস শেয়ার উপহার দিয়েছিলেন। এর ফলে একাগ্রের কাছে ইনফোসিস সংস্থার ০.০৪ শতাংশ স্টেক রয়েছে।
খুদে একাগ্রের অ্যাকাউন্টে ডিভিডেন্ডের ছড়াছড়ি
সম্প্রতি ইনফোসিস তাদের সমস্ত শেয়ারহোল্ডারদের জন্য প্রতি শেয়ারে ৪৩ টাকা করে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল। এই ডিভিডেন্ড বাবদ সংস্থা তাদের মোট ৫৪.২ কোটি শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে ২৩৩০ কোটি টাকা বন্টন করেছে। এরই মধ্যে নারায়ণ মূর্তির নাতি একাগ্র তার সঞ্চিত ১৫ লক্ষ শেয়ারের জন্য ৬.৫ কোটি টাকা পেয়েছে। মাত্র দেড় বছর বয়সেই একাগ্র এমন সব শিশুর শ্রেণিতে পৌঁছেছে যারা জন্মের পরেই কোটিপতি হয়েছেন।
ইনফোসিসের মালিক ও প্রতিষ্ঠাতাদের বিপুল আয়
এই ডিভিডেন্ড বন্টনের ফলে ইনফোসিসের অন্যান্য মালিক ও প্রতিষ্ঠাতারাও বিপুল আয় করেছেন:
সংস্থার চেয়ারম্যান নন্দন নিলেকানি তার ৪ কোটি শেয়ারের থেকে ডিভিডেন্ড বাবদ ১৭৫ কোটি টাকা পেয়েছেন।
নারায়ণ মূর্তি নিজে তার সঞ্চিত ১.৫ কোটি শেয়ারের জন্য ৬৫ কোটি টাকা আয় করেছেন।
সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস গোপালাকৃষ্ণন ৩.২ কোটি শেয়ারের জন্য আয় করেছেন ১৩৭ কোটি টাকা।
সবচেয়ে বেশি ডিভিডেন্ড পেয়েছেন সুধা গোপালাকৃষ্ণন, যার কাছে রয়েছে ইনফোসিস সংস্থার ৯.৫ কোটি শেয়ার। তার আয় হয়েছে ৪১০ কোটি টাকা।
মূর্তি পরিবারের নতুন প্রজন্মের আয়
নারায়ন মূর্তির পরিবারের নতুন প্রজন্মের সদস্যরাও এই ডিভিডেন্ড থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন:
রোহন মূর্তি তার ৬ কোটি শেয়ারের জন্য ২৬১.৫ কোটি টাকা আয় করেছেন।
রোহনের বোন অক্ষতা মূর্তির কাছে রয়েছে ৩.৮ কোটি শেয়ার, যার থেকে তার আয় হয়েছে ১৬৭ কোটি টাকা।
তৃতীয় প্রজন্মের সদস্যদেরও ব্যাপক আয়
ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির পরবর্তী তৃতীয় প্রজন্মের সদস্যরাও এই ডিভিডেন্ড থেকে বিপুল আয় করেছেন:
নিকিতা ও মিলন শিবুলাল মনছন্দা, যাদের কাছে এই সংস্থার ৬১ লক্ষ শেয়ার রয়েছে, তাদের আয় হয়েছে ২৬.৩ কোটি টাকা।
তনুষ নিলেকানি চন্দ্র ৩৩.৫ লক্ষ শেয়ারের বিনিময়ে আয় করেছেন ১৪ কোটি টাকা।
এই ডিভিডেন্ড বন্টন ইনফোসিসের আর্থিক সক্ষমতা এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ও শেয়ারহোল্ডারদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ তৈরির ক্ষমতাকে আবারও প্রমাণ করেছে।