শিক্ষক-ছাত্রীর প্রেমের পরিণতি হিসেবে গোপনে বিয়ে এবং এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে নিরাপত্তা চাওয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে বিহারে। জামুই জেলার একটি কোচিং সেন্টারের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সিন্ধু কুমারী তাঁর শিক্ষক প্রভাকর মাহাতোকে বিয়ে করেছেন। এই দম্পতি নিজেদের বিবাহিত জীবনের সুরক্ষা চেয়ে পুলিশের কাছে আর্জি জানিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ভাইরাল।
কোচিং সেন্টার থেকে শুরু প্রেম
জানা যাচ্ছে, শিক্ষক প্রভাকর মাহাতো ছয় মাস আগে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। ছাত্রী সিন্ধু কুমারী সরকারি চাকরির জন্য কোচিং নিচ্ছিলেন। সেখানেই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয় এবং ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ প্রেমে পরিণত হয়।
তাঁদের এই সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে পরিবার থেকে আসে তীব্র আপত্তি। লক্ষ্মীসরাই জেলার বাসিন্দা মাহাতোর পরিবারও এই সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকার করে। পরিবারের আপত্তিতে শেষ পর্যন্ত কোনো সুরাহা হবে না বুঝে এই দম্পতি গত সপ্তাহে পালিয়ে গিয়ে একটি মন্দিরে বিয়ে করেন।
‘অপহরণ নয়, স্বেচ্ছায় বিয়ে’—পুলিশের কাছে আর্জি
সোমবার প্রকাশিত ভিডিওতে দম্পতি তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ভয় প্রকাশ করেছেন। সিন্ধু কুমারী ভিডিওতে বলেন যে, তাঁর বয়স ১৮ বছরের বেশি এবং তিনি নিজের ইচ্ছায় প্রভাকর মাহাতোকে বিয়ে করেছেন। হাতজোড় করে তিনি পুলিশের কাছে আর্জি জানিয়ে বলেন, “সে আমাকে অপহরণ করেনি,” এবং তাঁর স্বামী বা স্বামীর পরিবারকে যেন কোনওরকম হয়রানি করা না হয়।
অন্যদিকে, প্রভাকর মাহাতোও পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে বলেন, তিনি সিন্ধুকে সত্যি ভালোবাসেন এবং তাঁরা আজীবন একসঙ্গে থাকবেন। সিন্ধু আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, তাঁর পরিবার যেন স্বামীর পরিবারকে হয়রানি না করে।
পুলিশের প্রতিক্রিয়া
জামুইয়ের পুলিশ অফিসার অমরেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন এবং দম্পতির উপর কোনও চাপ আছে কিনা তা দেখার জন্য উভয় পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। এখন দেখার, পুলিশ কীভাবে এই নবদম্পতির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে এবং এই পারিবারিক সংঘাতের সমাধান হয়।