১৫ কেজির এই ‘ব্যাকপ্যাক’-ই হবে আগামী দিনের যুদ্ধাস্ত্র! কেন জরুরি ভিত্তিতে ১২টি অত্যাধুনিক কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম অর্ডার করল সেনা?

ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army) এখন ভবিষ্যতের যুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে। শত্রু দেশের সাথে যেকোনো উত্তেজনার ক্ষেত্রে, ঝাঁক ড্রোনের মতো আক্রমণ এক ধাক্কায় ধ্বংস করার ক্ষমতা দিয়ে নিজেদের সজ্জিত করা হচ্ছে। এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, সেনাবাহিনী একটি দেশীয় কোম্পানির কাছে ১২টি ম্যান পোর্টেবল কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম (MPCDS) অর্ডারের দিয়েছে।

এই সিস্টেমগুলি চিন-পাকিস্তান সীমান্তে ৫ কিলোমিটার পুরু নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণ করতে সক্ষম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কী এই ম্যান পোর্টেবল কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম (MPCDS)?
MPCDS হলো এক ধরণের অত্যাধুনিক অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম যা আকাশে শত্রুদের সনাক্ত করে ধ্বংস করতে সক্ষম।

সনাক্তকরণ: এই সিস্টেমটি সমন্বিত রাডার এবং ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সেন্সর ব্যবহার করে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পরিসরে শত্রু ড্রোন সনাক্ত করতে পারে।

অক্ষম করা: এর জ্যামিং মডিউলটি VHF থেকে Ka-ব্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রাম জুড়ে কমান্ড-এন্ড-কন্ট্রোল সিগন্যালগুলিকে ব্যাহত করে। এর ফলে শত্রু ড্রোনগুলি উড্ডয়নের মাঝখানে অ-গতিশীলভাবে অক্ষম হয়ে পড়ে।

বহনযোগ্যতা: এই সিস্টেমটির ওজন ১৫ কিলোগ্রামেরও কম এবং এটি ব্যাকপ্যাকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি সৈন্যদের উচ্চ-উচ্চতার ফাঁড়ি থেকে শুরু করে শহুরে সংঘর্ষ পর্যন্ত গতিশীল যুদ্ধক্ষেত্রে দ্রুত মোতায়েন করার ক্ষমতা দেয়।

কেন জরুরি ভিত্তিতে অর্ডার?
ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের জরুরি ক্রয় প্রোটোকল চালু করার লক্ষ্য হলো সংবেদনশীল সীমান্তে অপারেশনাল ইউনিটগুলিতে এই সিস্টেমগুলির সরবরাহ দ্রুত করা, যাতে এগুলি তাৎক্ষণিকভাবে মোতায়েন করা যায়।

বেঙ্গালুরু ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান AxisCADS এই অর্ডারটি পেয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, এই আদেশটি স্বনির্ভর ভারতের চেতনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিতে স্বনির্ভরতাকেও উৎসাহিত করবে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy