হুগলি নদীর জল দূষণমুক্ত রাখতে কড়া নজর! বিসর্জন ঘাটে বাড়তি নিরাপত্তা ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন!

চার দিনের আনন্দ শেষে উমা-বিদায়ের পালা। প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে এই বছরও গঙ্গার ঘাটগুলিতে নিরাপত্তায় বাড়তি নজর দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। বিশেষ করে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা মাথায় রেখে বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন করা হয়েছে এবং ঘাটগুলিতে নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কড়া নজরদারি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি
মেয়র ফিরহাদ হাকিম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতা পুর কমিশনার ধবল জৈনকে সঙ্গে নিয়ে বাজেকদমতলা ঘাট পরিদর্শন করেন। এর আগে নবমীর দুপুরেই পুর কমিশনারের নেতৃত্বে দুর্যোগ মোকাবিলা নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকও হয়।

নজর মিনার: সাতটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাটে তৈরি হয়েছে নজর মিনার (ওয়াচ টাওয়ার), যেখান থেকে চলবে টানা নজরদারি।

মোতায়েন: বাগবাজার, বাজে কদমতলা, গোয়ালিয়র ও নিমতলা ঘাটে মোতায়েন রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল।

পুলিশের নেতৃত্ব: প্রতিটি ঘাটে এক একটি পুলিশ দল মোতায়েন থাকবে, যার নেতৃত্বে থাকবেন ডিসি, এসি এবং ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকেরা।

সাফাই ও পরিষেবা: প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাটে একজন করে এগ্‌জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সার্বিক তদারকির দায়িত্বে থাকবেন। ঘাটচত্বরে থাকবেন সাফাইকর্মীরা এবং আলো, অ্যাম্বুল্যান্স ও জরুরি পরিষেবার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “পুরসভা সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও যাতে প্রতিমা বিসর্জনে অসুবিধা না হয়, সে বিষয়ে আমাদের বিশেষ নজর আছে।”

নদী দূষণমুক্ত রাখার উদ্যোগ
নিরাপত্তার পাশাপাশি হুগলি নদীর জল যাতে দূষিত না হয়, সেদিকেও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। নিরঞ্জনের পরই দ্রুত প্রতিমার কাঠামো ও অন্যান্য সামগ্রী জল থেকে তুলে ফেলার জন্য সাফাইকর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বড় ধরনের বিপর্যয় এড়াতে এবং শান্তিপূর্ণ বিসর্জন নিশ্চিত করতে প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে ঘাটে ঘাটে তৎপরতা বজায় রেখেছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy