উত্তরবঙ্গে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় সিবিআই (CBI) ও এনআইএ (NIA) তদন্তের আর্জি আপাতত খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল পুলিশকে মামলার কেস ডায়েরি এবং তদন্তের গোপন রিপোর্ট আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আগামী ২৭ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সেদিনই পুলিশকে এই রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ
ওই হামলার ঘটনায় সিবিআই ও এনআইএ তদন্তের আর্জি জানিয়ে তন্ময় নার্জিনারি ও বিজন গোস্বামী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল বলেন:
“এই পরিস্থিতিতে তদন্ত হস্তান্তর করা সম্ভব নয়। তবে আমি পুলিশকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিচ্ছি। আর মামলাটি রেগুলার বেঞ্চে শুনানি হবে।”
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত জানান, একই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে এবং সেই মামলা শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত রয়েছে।
বিচারপতি নির্দেশ দেন যে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় ও বিচারপতি স্মিতা দাসদের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন মামলার সঙ্গেই সার্কিট বেঞ্চে এই মামলাগুলির শুনানি হবে।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর উত্তরবঙ্গে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু (মালদা উত্তরের সাংসদ) ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় দুষ্কৃতীদের আক্রমণের মুখে পড়েন।
এই ঘটনায় মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু গুরুতর আহত হন এবং শঙ্কর ঘোষও আঘাত পান। হামলার পরই বিজেপি নেতারা সরব হন এবং থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছে। বর্তমানে শঙ্কর ঘোষ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও, খগেন মুর্মু এখনও মাটিগাড়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।