শতাধিক বছর ধরে বিদেশ থেকে এসে মালদহের আদিনা ফরেস্টে উপনিবেশ গড়ে চলেছে এশিয়ান ওপেন বিল বা শামুকখোল পাখির দল। প্রতি বছর জুন মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ছয় মাস মালদহের এই ফরেস্টই তাদের ঠিকানা। শুধু শামুকখোলই নয়, প্রায় ১২৮ প্রজাতির পাখির আনাগোনা দেখা যায় এই সবুজ অরণ্যে।
মূলত প্রজননের উদ্দেশ্যেই প্রতি বছর হাজার হাজার শামুকখোল পাখি দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে এসে আদিনা ফরেস্টে ভিড় করে। তবে বছরের শেষের দিকে আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং তুলনামূলক গরম ও মনোরম পরিবেশের খোঁজে তারা ভিনরাজ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার দিকে পাড়ি দেয়। এর আগেই বড় হয়ে ওঠে শামুকখোল ছানারা। এই সময় তাদের সঠিক পরিসংখ্যান জানতেই এবার পাখিশুমারি শুরু করল মালদহ জেলা বন দফতর।
এদিন মালদহের আদিনা ফরেস্ট চত্বরে বন দফতরের আধিকারিকরা পাখিদের গণনার কাজ শুরু করেন। বন দফতরের আধিকারিকদের আশা, এই বছর পাখির সংখ্যা পূর্বের সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে।
বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “গত বছর প্রায় ১৪ হাজার পাখি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। এই বছর অনুমান করা হচ্ছে, পাখির সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৬ হাজার হতে পারে। গণনা শেষে সঠিক মোট পরিসংখ্যান জানা যাবে।” পর্যটকদের উদ্দেশে বন দফতরের অনুরোধ, এই সময়ে আদিনা ফরেস্টে এসে মনোরম দৃশ্য উপভোগ করুন।
শামুকখোল ছাড়াও পর্যটকরা আদিনা ফরেস্টে এলে চিতল হরিণ, নীল গাই-এর মতো বন্যপ্রাণী এবং দেশ-বিদেশের মোট ১২৮ প্রজাতির পাখির দর্শন পাবেন। বর্তমানে এই অভয়ারণ্যে কলোনি গড়ে থাকা হাজার হাজার শামুকখোল পাখির গণনা চলছে। এই পাখিশুমারি এলাকার পরিবেশগত গুরুত্বকে আরও একবার প্রমাণ করল।