গত ৫ আগস্ট উত্তরকাশীর ধরালী গ্রামে ক্ষীরগঙ্গা নদীর ভয়াবহ হড়পা বানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই বিপর্যয়ে বহু বাড়িঘর, রাস্তাঘাট এবং সেতু ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের হাতে পাঁচ হাজার টাকার চেক তুলে দিয়েছে। তবে ক্ষতির তুলনায় এই সামান্য ক্ষতিপূরণ পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা। তাদের মতে, এই অঙ্ক “অত্যন্ত সামান্য” এবং “অপমানজনক”।
ধরালী গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, হড়পা বানের কারণে তাদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অনেকে সবকিছু হারিয়েছেন, তাদের বাড়িঘর, ব্যবসা এবং পরিবারের সদস্যদের জীবনের ওপরও প্রভাব পড়েছে। এক গ্রামবাসী বলেন, “আমরা সবকিছু হারিয়েছি। আমাদের বাড়ি এবং ব্যবসার ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকারও বেশি। এর তুলনায় মাত্র পাঁচ হাজার টাকা দেওয়াটা অপমান ছাড়া আর কিছুই নয়।” এই কারণে অনেকে প্রথমে ক্ষতিপূরণ নিতে অস্বীকারও করেন।
গ্রামবাসীরা আরও অভিযোগ করেন যে, বিপর্যয়ের পর থেকে তাদের গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রশাসন থেকে তাদের মোমবাতি দেওয়া হলেও তা ঘটনার চার দিন পর পৌঁছেছে। এক গ্রামবাসী বলেন, “আমরা অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছিলাম এবং কাঠ জ্বালিয়ে খাবার গরম করছিলাম। প্রশাসন রেশনের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা আমাদের কাছে পৌঁছায়নি।”
প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর প্রশাসনের সহযোগিতা না পেয়ে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা শুক্রবার জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান এবং স্লোগান দেন। তাদের অভিযোগ, বিপর্যয়ের পর থেকে প্রশাসন তাদের পাশে দাঁড়ায়নি।
যদিও এই বিষয়ে বিপর্যয় ম্যানেজমেন্ট অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই পাঁচ হাজার টাকার চেক শুধুমাত্র প্রাথমিক সহায়তা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত হিসাব এখনও চলছে এবং পরে আরও বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।