উত্তর প্রদেশের হাপুরে এক মর্মান্তিক ঘটনায় স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের জেরে রাস্তায় তাড়া করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এক যুবককে। মৃতের নাম সোনু। তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে এই নৃশংস খুনের অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার স্ত্রীর সঙ্গে বচসা ও মারামারির পর সোনুর স্ত্রী তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনকে ফোন করে ডেকে আনেন। বুলন্দশহর থেকে আসার পরই শ্বশুরবাড়ির লোকজন সোনুকে হেনস্থা করতে শুরু করেন এবং মারধর করেন। জানা গিয়েছে, মারের হাত থেকে বাঁচতে সোনু পালাতে শুরু করেন। কিন্তু হাইরোডে তাঁকে ধাওয়া করেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। রাস্তাতেই ফেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারধরের মাঝে যাঁরা সোনুকে বাঁচাতে এসেছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ।
গুরুতর আহত অবস্থায় সোনু নিজেই কোনওভাবে ছুটে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত সোনুর মা সুখীয়ারি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র মারধরই নয়, তাঁর ছেলেকে জোর করে বিষ খাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে তাঁর ছেলে স্ত্রীকে সব কিছুই দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং এমনকি তাঁর জন্য এক বিঘা জমিও বিক্রি করেছিলেন। তাঁর সব গয়নাও পুত্রবধূ নিয়ে নিয়েছিলেন। এরপরেও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে ‘কিছু খাইয়ে মেরে ফেলেছেন’।
পিলাখুয়ার পুলিশ আধিকারিক অনিতা চৌহান জানিয়েছেন, সোনুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর শ্বশুরবাড়ির ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই পলাতক। পুলিশ এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।