গায়ক জুবিন গার্গের অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় তাঁর ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা এবং উত্তর-পূর্ব ভারত উৎসবের (NEIF) আয়োজক শ্যামকানু মহন্তকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর পর তদন্ত আরও বিস্তৃত হয়েছে। এই দুইজনের বিরুদ্ধে এখন শুধু গায়কের মৃত্যু নয়, সংগঠিত আর্থিক অপরাধে জড়িত থাকারও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
শ্যামকানু মহন্তের বিরুদ্ধে আর্থিক অপরাধের অভিযোগ
অসম পুলিশ ইভেন্ট ম্যানেজার শ্যামকানু মহন্তের বিরুদ্ধে একটি আলাদা তদন্ত শুরু করেছে। সরকারি নথি অনুযায়ী, মহন্ত গায়ক জুবিন গার্গের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ার পাশাপাশি, সংগঠিত আর্থিক অপরাধে জড়িত থাকার এবং অর্থ পাচারের মাধ্যমে সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগেও অভিযুক্ত।
মহন্তের বাড়িতে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার অভিযানের সময় অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাঁর বাসভবন থেকে একাধিক অপরাধমূলক নথিপত্র এবং জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে:
একটি প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যু করা একাধিক প্যান কার্ড।
বিভিন্ন কোম্পানি এবং সরকারি অফিসের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৩০টি স্ট্যাম্প সিল।
বেশ কয়েকটি তথাকথিত বেনামি সম্পত্তির সঙ্গে যুক্ত কাগজপত্র।
উল্লেখ্য, শ্যামকানু হলেন প্রাক্তন ডিজিপি ভাস্কর জ্যোতি মহন্তের ছোট ভাই।
গ্রেফতার ও আইনি প্রক্রিয়া
শ্যামকানু মহন্তকে বুধবার (২৮ নভেম্বর, ২০২৫) রাত ১২.৩০ মিনিটের দিকে সিঙ্গাপুর থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পরই আটক করা হয়। অন্যদিকে, জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মাকে গুরুগ্রামে রাত কাটানোর পর রাজস্থান থেকে আটক করা হয়। শীঘ্রই তাঁকে অসমে নিয়ে আসা হবে।
উভয় অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করা হয় এবং ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এই দুইজনের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে ৬০টিরও বেশি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
ন্যায়বিচারের প্রতীক্ষায় গায়কের পরিবার
প্রয়াত গায়কের স্ত্রী গরিমা গর্গ জানিয়েছেন যে তিনি আইনি প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা রাখেন এবং আশাবাদী যে ন্যায়বিচার হবে। জুবিন গার্গের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে অসম সরকার বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করেছে।