দুর্গাপূজার উৎসবের মরশুমে শহরের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক আইন বজায় রাখতে কড়া হাতে মোকাবিলা করল কলকাতা পুলিশ। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে উশৃঙ্খল আচরণ, বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং মদ্যপ অবস্থায় ড্রাইভিং-এর অভিযোগে বৃহস্পতিবার (দশমীর দিন) পর্যন্ত মোট ১২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
লালবাজার সূত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পুজোর দিনগুলিতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন-সহ বিভিন্ন অভিযোগে মোট ৮ হাজার ২৭৭ জন নাগরিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। নবমীর দিনেই রেকর্ড সংখ্যক লোকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে রেকর্ড:
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, আইন ভাঙার গুরুতর চিত্রটি সামনে এসেছে:
অভিযোগ নবমীর দিন গ্রেফতার/মামলা মোট ব্যবস্থা
এক বাইকে তিনজন সওয়ার ৩৫৩ জন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে
হেলমেট ছাড়া বাইক ১০৮৯ জন –
বেপরোয়া গাড়ি চালানো – ১৭৭ জন
মত্ত অবস্থায় ড্রাইভিং – ১৬৭ জন
অন্যান্য ছোট-বড় নিয়মভঙ্গ – ২০৭ জন
Export to Sheets
এছাড়াও ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে একশোরও বেশি লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
সচেতনতার অভাব নিয়ে উদ্বেগ:
লালবাজার সূত্রে খবর, শহরের সর্বত্র ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর বিজ্ঞাপন ঝুললেও সাধারণের মধ্যে সচেতনতার অভাব স্পষ্ট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাফিক বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, “আমরা সাধারণ মানুষকে অনেকটা সাহায্য করেছি। কিন্তু, কেউ যদি ট্রাফিক আইন কিংবা অন্যান্য আইন অবজ্ঞা করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তো আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেই হবে।”
চতুর্থীর রাত থেকেই শহরের আনাচে-কানাচে নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সচল রাখতে মোতায়েন ছিল কলকাতা পুলিশের বিশাল বাহিনী। অতিরিক্ত ফোর্স, মহিলা পুলিশ, র্যাফ এবং বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনীর পাশাপাশি ড্রোনের মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হয়েছিল। পুলিশের এত প্রস্তুতির পরেও একাংশ নাগরিকের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ তাঁদের কড়া শাস্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে।