অসুস্থতার কারণে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতার দায়িত্ব নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সংসদে এসেই তিনি দলীয় সাংসদদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বসেন। দলের নতুন চিফ হুইপ কাকলি ঘোষ দস্তিদার তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। দলনেতার চেয়ারে না বসে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ারটি ফাঁকা রেখে পাশের চেয়ারে বসেন অভিষেক, যা দলের প্রতি তার শ্রদ্ধার ইঙ্গিত বহন করে।
প্রথম বৈঠকেই অভিষেক একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘SIR’ (Statement of Indian Republic) নিয়ে আলোচনা না হলে সংসদ চলবে না। বাংলা ও বাঙালির বিরুদ্ধে যারা কুমন্তব্য করছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া সরকারের সমর্থনকেই নির্দেশ করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সংসদের অভ্যন্তরে কৌশল নির্ধারণের পাশাপাশি তিনি দলীয় ঐক্যের ওপর জোর দিয়েছেন। বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক জানান, সুপ্রিম কোর্টে মামলার কারণে তিনি আসতে পারেননি এবং তার সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলবেন। তিনি আরও বলেন, “দলের বর্তমান টিমের মধ্যে কোনো মত পার্থক্য নেই। মিডিয়া যতই খুঁত খোঁজার চেষ্টা করুক, সবাই এক।”
এদিকে, কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে। রাহুল গান্ধীর ব্যক্তিগত ফোন পেয়ে দিল্লি আসা এবং কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর ইঙ্গিত প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট। আমাদের প্রায়োরিটি বেঙ্গল। ওরা যদি আমাদের জন্য কথা বলেন, আমরা ওদের জন্য কথা বলব। ওরা আমাদের জন্য দু’ পা হাঁটলে, আমরা চার পা হাঁটব।” তিনি মনে করিয়ে দেন যে ভোটের আগে ইন্ডিয়া জোটের সব বৈঠকে তৃণমূল উপস্থিত ছিল, কিন্তু আসন ভাগাভাগি নিয়ে কংগ্রেস সময় মানেনি। অভিষেক ১১ আগস্ট নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচিতে থাকছেন না, তবে দলীয় সাংসদদের থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।