ওপার বাংলায় রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা চললেও, এক যুবকের হৃদয়ে তখন বইছিল প্রেমের তুফান। সেই প্রেমের টানেই সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে এপার বাংলায় ঢুকে পড়েছিলেন বাংলাদেশি যুবক রায়হান কবীর (২৫)। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। প্রেমিকার দেখা পাওয়ার আগেই তাঁর স্থান হলো শ্রীঘরে। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট সীমান্ত এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রেম ও অনুপ্রবেশ: পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত রায়হান বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার ওল্ড সাতক্ষীরা রোডের বাসিন্দা। প্রাথমিক জেরায় রায়হান পুলিশকে জানিয়েছে, ভারতের এক তরুণীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর আলাপ ও গভীর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই টানেই বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই সীমান্ত পেরিয়ে এপারে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভুল জায়গায় পৌঁছে গিয়ে প্রেমিকার হদিশ না পেয়ে উদ্দেশ্যহীনভাবে বসিরহাট থানার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে শুরু করেন।
পুলিশি তৎপরতা ও গ্রেফতারি: শুক্রবার ভোররাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় রায়হানকে সন্দেহজনকভাবে ঘুরতে দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। খবর দেওয়া হয় বসিরহাট থানায়। খবর পেয়েই পুলিশ আধিকারিক রক্তিম চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে রায়হানকে আটক করে। বৈধ নথিপত্র দেখাতে না পারায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবারই তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
শিলিগুড়িতেও বাড়ছে উত্তাপ: অন্যদিকে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে বিক্ষোভ অব্যাহত। ভিসা অফিসের পর এবার বাংলাদেশের সোনালী ব্যাঙ্ক অভিযান চালাল বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চ। পানিট্যাঙ্কি মোড়ে ব্যাঙ্কের সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। ইউনুসের কুশপুতুল দাহ করে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ওপারে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে থেকে আগতদের কোনো পরিষেবা দেওয়া হবে না।