“আগেও এক ছিল দুই বাংলা, আবার এক হয়ে যাবে।” ভোট জেতার পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার কাঁটাতার তুলে দিয়ে দুই বাংলা এক করে দেওয়ার এই মন্তব্য করে তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনায় এবার সরাসরি আসরে নামলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি বিজেপি সাংসদকে রাজনৈতিক আক্রমণ করে বলেন, “বিজেপি নেতৃত্বের ভণ্ডামি আরও গভীরে নেমে এসেছে। @BJP4India রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ঘোষণা করেছেন যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কোনও সীমানা থাকবে না – উভয় দেশ আবার এক হয়ে যাবে!”
অমিত শাহ এবং নড্ডাকে চ্যালেঞ্জ:
অভিষেক কটাক্ষ করেন যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন একই বিজেপি সরকার অনুপ্রবেশের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দোষারোপ করে চলেছে, অথচ তাদের সাংসদ দেশের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কথা বলছেন।
তিনি বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা (@JPNadda) এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন: “যদি বিজেপি সত্যিই দেশের অখণ্ডতায় বিশ্বাস করে, তাহলে আমি @BJP4India @JPNadda কে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি যে এই সাংসদকে অবিলম্বে বরখাস্ত করুন। তাদের নীরবতা কেবল প্রকাশ করবে যে তিনি শীর্ষনেতার পূর্ণ সম্মতিতে কথা বলেছেন।”
বিজেপির ‘প্রতারণা’ রাজনীতি:
তৃণমূল সাংসদ এই ধরনের মন্তব্যকে “জাতীয়তাবাদ নয়—প্রতারণা” বলে আখ্যা দেন। অভিষেক বলেন, “এসআইআর” নামে পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে বোকা বানানো এবং অপমান করা বিজেপির ট্রেডমার্ক রাজনীতিতে পরিণত হয়েছে – ভণ্ডামি এবং বিশ্বাসঘাতকতার একটি বিপজ্জনক মিশ্রণ!
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মাটিয়ারি বানপুরে এক জনসভায় বক্তৃতা করার সময় জগন্নাথ সরকার এই মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “কথা দিচ্ছি, এ বারের ভোটে (বিধানসভা) আমরা জিতলে বাংলাদেশের সঙ্গে আর কাঁটাতার রাখব না। আগেও এক ছিল দুই বাংলা, আবার এক হয়ে যাবে।”
তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও এই মন্তব্যের নিন্দা করে বলেন, “জগন্নাথ সরকারের মন্তব্যে বিজেপির দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এল। একদিকে তারা বলছে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। অন্য দিকে তারাই বলছে, ‘কাঁটাতার তুলে দেব।’”