আরজি করের নির্যাতিতার বাবার দিল্লি গিয়ে সিবিআই কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তা কেবল একজন ভুক্তভোগীর আবেগ নয়, বরং এটি সিবিআইয়ের তদন্ত পদ্ধতির ওপর গভীর প্রশ্ন তুলে ধরে। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেছেন, সিবিআইয়ের ‘মেরুদণ্ড নেই’ এবং তারা শুধু একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করতে চাইছে। এই অভিযোগের নেপথ্যে কি তদন্তে কোনো গাফিলতি রয়েছে?
নির্যাতিতার বাবা জানান, তিনি বারবার সঠিক তদন্তের আবেদন করলেও সিবিআই কর্মকর্তারা তাঁর দেওয়া তথ্যকে উপেক্ষা করছেন। তাঁর কথায়, “ওরা শুধু সঞ্জয়কেই গেলাতে চাইছে।” এই মন্তব্যে ইঙ্গিত স্পষ্ট যে, তদন্তের পরিধি সংকীর্ণ করে ফেলা হচ্ছে এবং প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে না। যখন তিনি বলেন, “প্রমাণ কি আমি ঘর থেকে এনে দেব?”, তখন এটি প্রমাণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের নিষ্ক্রিয়তার দিকেই আঙুল তোলে।
এই ধরনের ঘটনা সিবিআইয়ের ভাবমূর্তি এবং কার্যকারিতা নিয়ে জনমনে সন্দেহ তৈরি করে। একটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যখন কোনো মামলার তদন্ত করে, তখন তার নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু নির্যাতিতার বাবার এই গুরুতর অভিযোগ প্রমাণ করে যে, এই ক্ষেত্রে সেই নীতিগুলি লঙ্ঘিত হচ্ছে। এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, সিবিআইয়ের তদন্ত পদ্ধতি এবং স্বচ্ছতা নিয়ে আবারও আলোচনা হওয়া উচিত।