“সারা রাত গল্প করে কাটিয়েছি!”-বিয়ের পরদিনই মৃত্যু ৭৫ বছরের বৃদ্ধের, গ্রামজুড়ে জল্পনা!

জীবনের শেষ বেলায় সঙ্গী পাওয়ার আশায় দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর জেলার কুছমুছ গ্রামের বাসিন্দা সাংগুরাম (৭৫)। কিন্তু সেই আশা পূর্ণ হলো না। স্ত্রীকে ঘরে আনার ২৪ ঘণ্টা পেরোনোর আগেই রহস্যজনক মৃত্যু হলো তাঁর। এই আকস্মিক মৃত্যুতে গ্রামে তৈরি হয়েছে তুমুল জল্পনা।

বছরখানেক আগে সাংগুরামের স্ত্রী মারা যান। নিঃসন্তান এবং একা থাকার কারণেই তিনি ফের বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। আত্মীয়রা বারণ করা সত্ত্বেও তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন।

বিয়ের রাতেই গল্প, সকালেই মৃত্যু
সোমবার, সাংগুরাম তাঁর বয়সের অর্ধেকেরও কম, ৩৫ বছর বয়সি মানভাবতীকে বিয়ে করেন। প্রথমে আদালতে তাঁদের বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়, পরে স্থানীয় মন্দিরে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

মানভাবতীর দুটি সন্তান রয়েছে। তাঁর দাবি, সাংগুরাম তাঁকে ও তাঁর সন্তানদের দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। মানভাবতী জানান, বিয়ের পর রাতে তাঁরা দু’জনে গল্প করেই বেশিরভাগ সময় কাটান। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল হতেই সাংগুরামের শরীর খারাপ হতে শুরু করে। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

কেন উঠছে সন্দেহ ও ময়নাতদন্তের দাবি?
সাংগুরামের এই আকস্মিক মৃত্যু স্বাভাবিক কিনা, তা নিয়ে গ্রামে শুরু হয়েছে চরম জল্পনা। গ্রামবাসীদের একাংশ এই মৃত্যুকে সন্দেহজনক বলে মনে করছেন।

পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে যখন সাংগুরামের আত্মীয়রা তাঁর মরদেহ সৎকার করতে বাধা দেন। তাঁর ভাইপোরা দিল্লিতে থাকেন। আত্মীয়দের দাবি, একমাত্র তাঁদের উপস্থিতিতেই সাংগুরামের শেষকৃত্য সম্পন্ন হতে পারে। অনেকেই এই রহস্যজনক মৃত্যুর কারণে সাংগুরামের দেহের ময়নাতদন্তের দাবি তুলেছেন।

যদিও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত এই বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি বলে জানা গেছে। পুলিশ আধিকারিকরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy