হাওড়ার উলুবেড়িয়ার শ্যামপুর থানার ডিহিমণ্ডলঘাট মাঝি পাড়ায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারই ষাটোর্ধ্ব গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরেই ওই শিশুকে বাড়িতে এসে পড়াতেন। অন্যদিনের মতোই বুধবার তিনি বাড়িতে পড়াতে এসেছিলেন। সেই সময় বাড়িতে ছাত্রীর মা ছাড়া আর কেউই ছিলেন না। পরিবারের এক সদস্য হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বাড়ির অন্য সদস্যরা তাকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন এবং বাড়ি কার্যত ফাঁকাই ছিল। অভিযোগ, এই সুযোগে পড়াতে এসে শিক্ষক ঘরে একা পেয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করেন।
নাবালিকা চিৎকার করে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে এবং এরপরই অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন শিশুটির মা। তিনি মেয়েকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। এই সুযোগে ওই গৃহশিক্ষক ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়।
নির্যাতিতার মা দ্রুত বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানান। পাড়া-প্রতিবেশীরাও ঘটনাটি জানতে পারেন। এরপরই উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত শিক্ষককে ধরে এনে মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার রাতেই নির্যাতিতার পরিবার শ্যামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে রাতেই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো (POCSO) আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবার এবং তার প্রতিবেশীরা অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এবং শিশুর সুরক্ষার বিষয়টি আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।