দীপাবলির রাতে কলকাতার অভিজাত সাউথ সিটি আবাসনে পুলিশি তৎপরতা নিয়ে এবার সরাসরি রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সরকারি নির্দেশ মেনেই আবাসিকরা বাজি পোড়াচ্ছিলেন, তবুও পুলিশ সেখানে পৌঁছে ধমক, গ্রেফতার ও মারধর করেছে—এমনই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার তিনি এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ‘হিন্দু বিরোধী’ মানসিকতার অভিযোগ এনেছেন।
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ
বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু অধিকারী একটি ভিডিও যুক্ত করে তাঁর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁর মূল বক্তব্যের অংশগুলি নিম্নরূপ:
‘বাধা ও নিয়ন্ত্রণ’: তিনি বলেন, “যে দিনটিতে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার দিন, সেই দিনেও সৃষ্টি হচ্ছে নানা রকম বাধা ও নিয়ন্ত্রণ। এটা শুধু উৎসবের আনন্দে নয়, হিন্দুদের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অধিকারে সরাসরি হস্তক্ষেপ।”
সাউথ সিটি কাণ্ড: শুভেন্দুবাবুর দাবি, “গতকাল রাতে কলকাতার অভিজাত সাউথ সিটি আবাসনের আবাসিকরা তাদের পরিবারের সাথে দীপাবলির আনন্দে মেতেছিলেন। সরকারি নির্দেশাবলি মেনেই বাজি পোড়াচ্ছিলেন আবাসিকরা, কিন্তু হিন্দু বিরোধী মমতা পুলিশ আবাসনে পৌঁছে ধমক, গ্রেফতার থেকে নিরীহ হিন্দু আবাসিকদের মারধর পর্যন্ত করেছে, যা ভিডিওতে দৃশ্যমান।”
‘হিন্দু সমাজ অধিকার হারিয়েছে’: বিরোধী দলনেতা মনে করেন, একটি স্বাধীন দেশে ধর্মীয় উৎসব পালন করা প্রত্যেকের অধিকার হলেও, “কিন্তু হিন্দু বিরোধী পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে এই হিন্দু সমাজ আজ সেই অধিকার হারিয়ে ফেলেছে।”
পুলিশি ‘অতিসক্রিয়তা’: তিনি আরও কটাক্ষ করে বলেন, “এই তৎপরতা ও অতিসক্রিয়তা শুধুমাত্র হিন্দুদের উৎসব উদযাপনের সময় দেখা যায়।”
তীব্র নিন্দা ও সতর্কতা
শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনাকে “ঘৃণ্য” বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে আগামী দীপাবলি যেন মানুষের জন্য সুখকর হয়।
উল্লেখ্য, দীপাবলির রাতে শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কলকাতা পুলিশের বিশেষ সতর্কতা ও ধরপাকড় চলে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে শহরে একাধিক জায়গায় নজরদারি চালানো হয়। তবে পুলিশি অতিসক্রিয়তা এবং আবাসিকদের হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে এই প্রথমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন। গোটা ঘটনাটি এখন রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে।