দেশের প্রায় এক কোটি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য একটি বড় খবর আসতে চলেছে। ২০২৫ সালের জুলাই মাসের জন্য তাঁদের মহার্ঘ ভাতা (DA) ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে, যা সম্ভবত আগামী অক্টোবরের মধ্যেই কর্মীদের অ্যাকাউন্টে জমা হবে। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে মিডিয়া রিপোর্ট এবং গণনা ইঙ্গিত দিচ্ছে এই বৃদ্ধির সম্ভাবনার দিকে।
ডিএ বৃদ্ধির প্রত্যাশা:
গত মার্চ মাসে সরকার ২ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করেছিল, যার ফলে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা ৫৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল। এবার জুলাই মাসের (৭ম বেতন কমিশনের ডিএ বৃদ্ধি) জন্য ৩ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। যদি এটি বাস্তবায়িত হয়, তবে মোট ডিএ বেড়ে ৫৮ শতাংশ হবে।
কীভাবে নির্ধারিত হয় মহার্ঘ ভাতা?
মহার্ঘ ভাতা শ্রম মন্ত্রকের লেবার ব্যুরো দ্বারা প্রকাশিত CPI-IW (শিল্প শ্রমিকদের জন্য ভোক্তা মূল্য সূচক) তথ্যের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট সূত্র ব্যবহার করে গণনা করা হয়। সরকার গত ১২ মাসের CPI তথ্যের গড় হিসাব করে তা সপ্তম বেতন কমিশনের বেতন বৃদ্ধির সূত্রে রাখে। জুলাই মাসে CPI-IW গড় ছিল প্রায় ১৪৩.৩। এই পরিসংখ্যান বর্তমান ভিত্তি বছর অনুসারে আপডেট করার পরেই ডিএ গণনা করা হয়। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, নতুন ডিএ প্রায় ৫৮ শতাংশ হতে পারে, যা ৩ শতাংশ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বেতনে সম্ভাব্য বৃদ্ধি:
যদি একজন কর্মচারীর মূল বেতন ২৫,০০০ টাকা হয়, তাহলে বর্তমানে তিনি ৫৫ শতাংশ ডিএ অর্থাৎ ১৩,৭৫০ টাকা পাচ্ছেন। যদি ডিএ ৫৮ শতাংশে বৃদ্ধি পায়, তাহলে তাঁর মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ হবে প্রায় ১৪,৫০০ টাকা। এর ফলে তাঁর মাসিক বেতন ৭৫০ টাকা বৃদ্ধি পাবে।
অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সর্বশেষ আপডেট:
সপ্তম বেতন কমিশন ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে কার্যকর করা হয়েছিল এবং এর মেয়াদ ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে। এরপর নতুন বেতন কমিশন অর্থাৎ ৮ম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা হবে। সাধারণত, নতুন বেতন কমিশন কার্যকর হলে মুদ্রাস্ফীতির ভিত্তিরেখা পরিবর্তিত হয় এবং ডিএ শূন্য থেকে পুনরায় নির্ধারণ করা হয়। এর আগে, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের শেষে ডিএ ১২৫ শতাংশে পৌঁছেছিল।
এখনও পর্যন্ত সরকার অষ্টম বেতন কমিশনের জন্য কোনো চেয়ারম্যান বা সদস্য নিয়োগ করেনি বা এর অফিসিয়াল টার্মস অফ রেফারেন্স জারি করেনি। তবে কর্মচারী সংগঠনগুলি ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে তাদের দাবি পেশ করেছে। মনে করা হচ্ছে, ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ৮ম বেতন কমিশন কার্যকর হতে পারে এবং এর অধীনে মূল বেতন প্রায় ১৪ শতাংশ