সন্ত্রাস দমনে নয়া রণকৌশল! ৮৫০টি কামিকাজে ড্রোন কিনছে ভারতীয় সেনাবাহিনী

‘অপারেশন সিঁদুর’-এর অভাবনীয় সাফল্য থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার নিজেদের ড্রোন বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে কোমর বেঁধে নামছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং সীমান্ত শত্রুপক্ষকে কড়া জবাব দিতে প্রায় ৮৫০টি কামিকাজে ড্রোন (Kamikaze Drones) বা আত্মঘাতী ড্রোন কেনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিলের (DAC) আসন্ন বৈঠকেই এই প্রস্তাবে সিলমোহর পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্বনির্ভর ভারত ও ড্রোনের শক্তি: সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, এই ড্রোনগুলি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হবে, যা ‘স্বনির্ভর ভারত’ অভিযানকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। বর্তমানে সেনাবাহিনীতে কামিকাজে ড্রোন ব্যবহৃত হলেও, ভবিষ্যতে প্রায় ৩০,০০০ ড্রোন অন্তর্ভুক্ত করার এক বিশাল লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সেনাবাহিনীর প্রতিটি যুদ্ধ ইউনিটের ড্রোন সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।

বিশেষ বাহিনী ‘অশনি প্লাটুন’: সেনা কাঠামোতে একটি বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এখন থেকে প্রতিটি পদাতিক ব্যাটালিয়নে একটি করে ‘অশনি প্লাটুন’ তৈরি করা হবে। এই প্লাটুনের মূল কাজ হবে ড্রোনের মাধ্যমে শত্রুর অবস্থানে নির্ভুল হামলা চালানো এবং কড়া নজরদারি রাখা। এর ফলে ফ্রন্টলাইন ইউনিটগুলিকে ড্রোন অপারেশনের জন্য আর উচ্চ-স্তরের কমান্ডের ওপর নির্ভর করতে হবে না।

অপারেশন সিঁদুরের স্মৃতি: উল্লেখ্য, পহেলগাম হামলার পর পরিচালিত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমেই ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ৯টি জঙ্গি আস্তানার মধ্যে ৭টি ধ্বংস করে দিয়েছিল, যেখানে ২৬ জন সন্ত্রাসবাদী খতম হয়। এমনকি জঙ্গিদের মদতদাতা পাকিস্তানি সেনার ওপরও ড্রোন ব্যবহার করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতাই এখন আধুনিক যুদ্ধের মূল রসদ হয়ে উঠছে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy