ভরা রাস্তায় অপর একটি স্কুটারের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ঝগড়া করতে গিয়েই চরম খেসারত দিতে হল এক যুবককে। বচসার সুযোগে চোখের পলকে তাঁর স্কুটার থেকে চুরি হয়ে গেল প্রায় ১১ কেজি রুপো! যার বাজারমূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। দিল্লিতে ঘটে যাওয়া এই চুরির ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবকের নাম রামরতন আগারওয়াল, যিনি শাহদরা এলাকার বাসিন্দা। রবিবার (তারিখ উল্লেখ নেই) তিনি তাঁর স্কুটারে করে ১১ কেজি রুপো নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। নর্থ ইস্ট দিল্লির নিউ উসমানপুর এলাকার জেপিসি হাসপাতালের কাছেই অপর একটি স্কুটারের সঙ্গে তাঁর স্কুটারের সংঘর্ষ হয়। স্কুটারটিতে দুজন যুবক ছিলেন।
সংঘর্ষের পরেই রামরতন স্কুটার থামিয়ে দুই যুবকের সঙ্গে তীব্র বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, ভরা রাস্তাতেই শুরু হয় হাতাহাতি। কিছুক্ষণ ঝগড়ার পর অবশ্য সকলে যে যার পথে রওনা দেন।
বাড়ি ফিরতেই মাথায় হাত!
বাড়ি পৌঁছে স্কুটারের জিনিসপত্র মেলাতে গিয়েই মাথায় হাত পড়ে রামরতনের। স্কুটারের কামরা থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে ১১ কেজি রুপো! কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতিতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই ব্যবসায়ী।
তড়িঘড়ি নিউ উসমানপুর থানায় ছুটে যান রামরতন এবং ১১ কেজি রুপো চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। ভরা রাস্তায় সকলের নজর এড়িয়ে কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ রুপো চুরি হল, তা নিয়ে জোরকদমে তদন্ত চলছে। প্রাথমিক ধারণা, ঝগড়ার ফাঁকে দু’জনের একজন মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে রামরতনকে ব্যস্ত রেখেছিল, আর অন্যজন খুব দ্রুত চুরিটি সেরে ফেলেছে।
👉 এদিকে মন্দিরে চুরি করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল চোর! কালী মায়ের ‘কৃপায়’ শ্রীঘরে অপরাধী
দিল্লিতে যখন চোরের এই ‘পার্ফেক্ট’ কৌশল, তখন দিন কয়েক আগে ঝাড়খণ্ডে ঘটে গেছে এক হাস্যকর চুরির ঘটনা, যা রীতিমতো ভাইরাল।
জানা গেছে, ঝাড়খণ্ডের নাওমুন্ডির একটি কালী মন্দিরে গয়না ও বাসনপত্র চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে চোর। তার নাম বীর নায়ক। ১৪ জুলাই রাতে সে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করে একাই মন্দিরে চুরির পরিকল্পনা করে। মত্ত অবস্থায় পাঁচিল টপকে মন্দিরে ঢোকে এবং ঠাকুরঘরের তালা ভেঙে সোনা-রুপোর গয়না, পুজোর বাসনপত্র ব্যাগে ভরে নেয়।
কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ জিনিস চুরি করেও সে পালাতে পারেনি। মূর্তির গয়না চুরি করার পর মন্দিরের অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা মেঝেতে খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়েই ঘুমিয়ে পড়ে ওই চোর। আর সেই ঘুম ভাঙে একেবারে সকালে।
সকালে স্থানীয় বাসিন্দা ও পুরোহিত মন্দিরে এসে মেঝেতে যুবককে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পান। প্রথমে সন্দেহ না হলেও, যুবকের ব্যাগ খুলতেই উদ্ধার হয় ঠাকুরের সোনার হার, মুকুট, বাসনপত্র। এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয় এবং বীর নায়ককে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই ঘটনাকে স্থানীয়রা ‘কালী মায়ের কৃপা’ বলেই মানছেন। তাদের দাবি, মায়ের ইচ্ছাতেই চোর ধরা পড়েছে। এই ঘটনার পর থেকে এলাকার ওই কালী মন্দিরটি ‘জাগ্রত’ বলে রটে গেছে, ফলে ভক্তদের ভিড়ও আরও বাড়ছে।