জীবন মানেই জন্ম থেকে মৃত্যুর এক অবিচ্ছেদ্য চক্র। আর সেই জীবনচক্রে ফেলে আসা মিষ্টি স্মৃতিগুলো যদি আরও একবার রোমন্থন করার সুযোগ মেলে? তবে এবার সেই সুযোগ দিচ্ছে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল। দীপাবলির সময় কালীপুজো বা শ্যামা পুজোতে নস্টালজিয়ায় ডুব দিতে চাইলে এবার আসতেই হবে বার্নপুর প্রান্তিক ক্লাবের পুজো মণ্ডপে।
আসানসোলের বার্নপুর প্রান্তিক ক্লাব এবার তাদের ৭২তম বর্ষের শ্যামা পুজোয় থিমের ভাবনা হিসেবে বেছে নিয়েছে— ‘জীবন সেতুর স্মৃতিময় কাঠামো’। প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে এই থিম।
পুজো উদ্যোক্তারা জানান, দর্শনার্থীরা মণ্ডপে প্রবেশ করলেই এক অন্যরকম ভাবনায় ফুটিয়ে তোলা থিমের পুজো দেখতে পাবেন। বিশেষ করে জীবনের বিভিন্ন চক্রে অতীতে ফেলে আসা স্মৃতিকে রোমন্থন করাই এই থিমের মূল উদ্দেশ্য।
মণ্ডপের ভিতরে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে হারিয়ে যাওয়া সেই মুহূর্তগুলো, যা একসময় বাঙালির জীবনে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত ছিল। এখানে দেখা যাবে— পাড়ার মোড়ে চায়ের দোকানে আড্ডা, গ্রামের মেঠো পথে গরুর গাড়িতে চড়ে ঘোরা, রিকশা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কোনো ব্যক্তি বা গ্রামের মহিলারা রাস্তার কলে জল ভরছেন— এই সমস্ত স্মৃতি যা দর্শকদের মন ভালো করে তুলবে।
প্রান্তিক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দু দাস বলেন, “প্রত্যেক বছর শ্যামা পুজোতে আমাদের এই থিমের পুজো দেখতে দূর দূরান্তের মানুষ ভিড় করেন। এ বছরও ভালো ভিড় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমরা এখানে পুজোর পাশাপাশি বাউল গান থেকে শুরু করে বাংলা ব্যান্ড, লোকাল শিল্পীদের নিয়ে জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি।”
সমগ্র পুজোর মণ্ডপটি ফুটিয়ে তুলতে বাঁশ, বাটাম, ফোম এবং কর্কেট টিনের উপরে রং-তুলি দিয়ে আর্টের কাজ করা হচ্ছে। পুজো উদ্যোক্তারা আশাবাদী, জীবন চক্রের ফেলে আসা স্মৃতি নিয়ে তৈরি এই বিশেষ থিম দর্শনার্থীদের মন কাড়বে।