শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হওয়া এক যুবকের পচাগলা দেহ ২২ দিন পর উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবীন্দ্রনগর থানা এলাকার একটি জঙ্গল থেকে। মৃত যুবকের নাম তাজুদ্দিন। তার পরিবার এটিকে পরিকল্পিত খুন বলে দাবি করেছে এবং এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
গত ১৬ই জুলাই তাজুদ্দিন শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু এরপর তার সঙ্গে পরিবারের আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। ১৭ই জুলাই তার বাইকটি মহেশতলা আকড়া স্টেশনের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপরই পরিবার রাজাবাগান থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে।
প্রায় ২২ দিন পর, বুধবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনগর থানা এলাকার পাঁচুর গাজিপাড়ার একটি জঙ্গল থেকে একটি প্যাকেটে দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় একটি পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
তাজুদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা দেহটি শনাক্ত করেছেন। তাদের অভিযোগ, তাজুদ্দিনকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মিঠু নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরও করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত মিঠু পলাতক এবং তার বাড়িতে তালা ঝুলছে।
পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। রবীন্দ্রনগর এবং রাজাবাগান থানার পুলিশ যৌথভাবে বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে এবং অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা করছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় তাজুদ্দিনের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।