কোচবিহারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের ওপর হামলার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন শুভেন্দু অধিকারী, এমনটাই দাবি করেছে বিজেপি। এই হামলার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
শমীক ভট্টাচার্য এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “কোচবিহারে বিরোধী দলনেতা আক্রান্ত। শুভেন্দুকে খুন করার উদ্দেশ্যেই এই আক্রমণ করা হয়েছিল।” তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যের শাসকদল পরিকল্পিতভাবে বিরোধী দলের নেতাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
এই হামলার প্রতিবাদে বিজেপি রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, “আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই এবং এর প্রতিবাদে আমরা সংসদে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চাই।” তিনি জানান, এই ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় স্তরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হবে।
বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা পুলিশের সামনেই শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের ওপর হামলা চালায়, গাড়ি ভাঙচুর করে এবং ইটপাটকেল ছোড়ে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে যে, এটি বিজেপির রাজনৈতিক নাটক।
কোচবিহারে এই হামলার ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। শমীক ভট্টাচার্যর এই মন্তব্যের পর দিল্লি পর্যন্ত এই ঘটনার ঢেউ পৌঁছানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এখন দেখার, বিজেপি এই হামলার ঘটনাকে নিয়ে কতটা চাপ তৈরি করতে পারে এবং এর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস কী পদক্ষেপ নেয়।