শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহর বিরুদ্ধে এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এসেছে। তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে এক গর্ভবতী মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে কোচবিহারের রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছে কোচবিহারের মানুষ।
জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের দিনহাটায়। অভিযোগকারী গর্ভবতী মহিলা জানিয়েছেন, স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রীর অনুগামীরা তার বাড়িতে এসে তাকে মারধর করে। এই সময় তিনি গর্ভবতী জেনেও তার উপর হামলা চালানো হয়। তিনি জানান, রাজনৈতিক বিবাদের জেরেই এই আক্রমণ করা হয়েছে।
মহিলার এই গুরুতর অভিযোগের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং প্রশাসনের কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানো হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন। বিজেপি নেতা-কর্মীরা এই ঘটনাকে তৃণমূলের ‘হিংসার রাজনীতি’র প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরছেন।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি, তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে।
এই ঘটনায় কোচবিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। গর্ভবতী মহিলার ওপর হামলার অভিযোগের মতো সংবেদনশীল বিষয় সামনে আসায় সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। এখন দেখার বিষয়, পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করে কী ব্যবস্থা নেয় এবং এই অভিযোগের সত্যতা কতটা প্রমাণিত হয়।