মঙ্গলবার কোচবিহারে আক্রমণের শিকার হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তিনি বারবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর বিরুদ্ধে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। শুভেন্দুর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে উদয়ন গুহ-সহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। তবে এই অভিযোগের পাল্টা হিসেবে উদয়ন গুহ ‘রোহিঙ্গা’ প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দুকে বিঁধেছেন।
হামলার পর শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করে বলেছিলেন যে, ‘রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি সংখ্যালঘুরাই’ এই হামলা চালিয়েছে। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে উদয়ন গুহ বলেন, “আমার নামে এফআইআর হবে এটাতে আশ্চর্য কিছু হইনি। কিন্তু আশ্চর্য হয়েছি, গতকাল থেকে শুভেন্দু বলে আসছিল আমি নাকি রোহিঙ্গাদের মতো ওর উপর আক্রমণ করেছি। কিন্তু আজকে দেখছি যে অভিযোগ পত্রে একজন রোহিঙ্গারও নাম নেই। যাঁদের নাম রয়েছে তারা সবাই এখানকার ভূমিপুত্র।” এরপর তিনি প্রশ্ন তোলেন, “তাহলে কি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বিজেপির গোপন যোগাযোগ রয়েছে?”
শুভেন্দু অধিকারী গতকাল থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন যে, উদয়ন গুহর প্রচ্ছন্ন মদতে বাংলাদেশি রোহিঙ্গারা তাঁর উপর আক্রমণ করেছে। এরপরই তিনি কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার এবং কোচবিহার কোতোয়ালি ও ঘোকসাডাঙ্গা থানায় একযোগে মন্ত্রী উদয়ন গুহ-সহ ৪১ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদয়ন গুহ আজ শুভেন্দুকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “খালি মিথ্যাচার করে। মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা আর খানিকটা মানসিক সমস্যা…। ওর আর একদিন কোচবিহারের তুফানগঞ্জে থাকা উচিত ছিল। ওইখানে ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। এই রোগের চিকিৎসা কোচবিহারে ভালো হয়।” এই মন্তব্যগুলি রাজনৈতিক মহলে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।