পুজোর শেষ দিকে বৃষ্টি হবে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর, সেই পূর্বাভাস অনুসারেই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়ে গিয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার, দশমীর দিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। এই নিম্নচাপটি শুক্রবারের মধ্যে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশার উপকূলের মধ্যে দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে, যার জেরে রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির দাপট আরও বাড়বে।
দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা
বুধবার কলকাতায় বজ্রপাত সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও, বৃহস্পতিবার (দশমী) থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।
অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা (৭ থেকে ২০ সেমি): হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারী বৃষ্টির সতর্কতা: কলকাতা ছাড়াও, নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ২৪ পরগনা এবং হুগলিতেও ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ঝোড়ো হাওয়া: দশমীতে কিছু জায়গায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বাতাসের গতিবেগের সম্ভাবনা রয়েছে।
একাদশী (শুক্রবার): পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
উত্তরবঙ্গেও কমলা সতর্কতা জারি
উত্তরবঙ্গেও এই সপ্তাহে খুব ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার: দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
কমলা সতর্কতা: শুক্র ও শনিবার এই পাঁচটি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা
১ অক্টোবর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ওড়িশার সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে তীব্র বাতাস বইতে পারে। এই সময়কালে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।