চলতি সপ্তাহান্তে ফের যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ! শিয়ালদা শাখায়, বিশেষ করে শান্তিপুর লাইনে, চতুর্থ লাইনের কাজের জন্য ৪৬টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথের সময়েও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফলে সপ্তাহের শেষে নিত্যযাত্রীদের ফের ব্যাপক দুর্ভোগের মুখে পড়তে হবে।
পূর্ব রেলের ঘোষণা:
পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিয়ালদা ডিভিশনের কালীনারায়ণপুর-শান্তিপুর অংশে চতুর্থ লাইনের কাজের জন্য শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল ১০টা থেকে রবিবার (১৬ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৫৬ ঘণ্টার নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলবে। এই কাজের ফলেই এই বিপুল সংখ্যক লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে এবং কিছু ট্রেনের সময়সূচিও পরিবর্তিত হয়েছে। মূলত রানাঘাট-কৃষ্ণনগর শাখার কালীনারায়ণপুর-শান্তিপুর ইয়ার্ডের রিমডেলিং এবং নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলবে।
বাতিল হওয়া ট্রেনের তালিকা:
শুক্রবার, ১৪ জুন, শিয়ালদা-শান্তিপুর শাখায় বাতিল ট্রেন:
আপ: ৩১৫৩৭, ৩১৫৩৯, ৩১৫৪১
ডাউন: ৩১৫৩৮, ৩১৫৪০, ৩১৫৪২
শনিবার, ১৫ জুন, শিয়ালদা-শান্তিপুর শাখায় বাতিল ট্রেন:
আপ: ৩১৫১১, ৩১৫১৩, ৩১৫১৫, ৩১৫১৭, ৩১৫৩৭, ৩১৫৩৯, ৩১৫৪১
ডাউন: ৩১৫১২, ৩১৫১৪, ৩১৫১৬, ৩১৫১৮, ৩১৫৩৮, ৩১৫৪০, ৩১৫৪২
শনিবার, ১৫ জুন, রানাঘাট-শান্তিপুর শাখায় বাতিল ট্রেন:
আপ: ৩১৭৮১, ৩১৭৮৫
ডাউন: ৩১৭৮২, ৩১৭৮৮
শনিবার, ১৫ জুন, রানাঘাট-শান্তিপুর-কৃষ্ণনগর শাখায় বাতিল ট্রেন:
আপ: ৩১৫৮৫, ৩১৫৮৬
শনিবার, ১৫ জুন, রানাঘাট-কৃষ্ণনগর শাখায় বাতিল ট্রেন:
আপ: ৩১৭২৫, ৩১৭২৬
শনিবার, ১৫ জুন, শিয়ালদা-কৃষ্ণনগর শাখায় বাতিল ট্রেন:
আপ: ৩১৮৪৩
ডাউন: ৩১৮৪৪
রবিবার, ১৬ জুন, শিয়ালদা-শান্তিপুর শাখায় বাতিল ট্রেন:
আপ: ৩১৫১১, ৩১৫১৩, ৩১৫১৫, ৩১৫১৭
ডাউন: ৩১৫১২, ৩১৫১৪, ৩১৫১৬, ৩১৫১৮
রবিবার, ১৬ জুন, রানাঘাট-শান্তিপুর শাখায় বাতিল ট্রেন:
আপ: ৩১৭৮১, ৩১৭৮৫
ডাউন: ৩১৭৮২, ৩১৭৮৮
রবিবার, ১৬ জুন, রানাঘাট-শান্তিপুর-কৃষ্ণনগর শাখায় বাতিল ট্রেন:
আপ: ৩১৫৮৫, ৩১৫৮৬
রবিবার, ১৬ জুন, রানাঘাট-কৃষ্ণনগর শাখায় বাতিল ট্রেন:
আপ: ৩১৭২৫, ৩১৭২৬
পরিবর্তিত সময়সূচির ট্রেন:
৩১৫১২ ডাউন শান্তিপুর-শিয়ালদা লোকাল: শুক্রবার রাত ৩টে ২২ মিনিটের পরিবর্তে ভোর ৪টে ৭ মিনিটে ছাড়বে।
৫৩১৭২ ডাউন লালগোলা-শিয়ালদা প্যাসেঞ্জার: শুক্রবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটের পরিবর্তে শনিবার (ইংরেজি মতে) রাত ১২টা ১৫ মিনিটে লালগোলা থেকে ছাড়বে।
৫৬ ঘণ্টা ধরে ট্রেন বাতিল থাকায় রানাঘাট-কৃষ্ণনগর শাখার নিত্যযাত্রীরা নিঃসন্দেহে চরম ভোগান্তির শিকার হবেন। যাত্রীদের বিকল্প যাতায়াতের ব্যবস্থা খুঁজে নিতে হবে এবং রেলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।