দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল ছাত্রীকে গণধর্ষণ কাণ্ডে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণে বিঁধলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন, এই ঘটনায় ধৃত অন্যতম অভিযুক্ত শেখ নাসিরউদ্দিন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ।
ধৃত অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিস্ফোরক দাবি:
সোমবার দুর্গাপুরে ধরনা-অবস্থানের মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মোট চারজন গ্রেফতার হয়েছে। আজকে যে গ্রেফতার হয়েছে, নাসিরউদ্দিন, তিনি দুর্গাপুর পুরনিগমের অস্থায়ী কর্মী। তৃণমূলের ক্যাডার। ওনার বাবা পার্টির পোর্ট ফোলিও হোল্ডার।”
বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, “এই ঘটনার সঙ্গে এতদিন অনেক তত্ত্ব চলছিল, আজকে আরেকটা নতুন তত্ত্ব যুক্ত হল। যে এই গণধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারিই যুক্ত। স্বাভাবিকভাবে, শাসক যেখানে শোষক… তিনি হলেন আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তিনি জানেন সব কিছুই।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি কাঠগড়ায় তোলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি ও নির্যাতিতার চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ:
শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর দুর্গাপুরে না আসায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং নিজেকে লজ্জিত বলে মন্তব্য করেন।
এছাড়াও, তিনি নির্যাতিতার চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অভিযোগ করেন, তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁদের মুখ খুলতে নিষেধ করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা আরও দাবি করেন, নির্যাতিতাকে এই রাজ্যে (পশ্চিমবঙ্গে) রাখতে পরিবার রাজি নয়।
শুভেন্দু অধিকারীর এই বিস্ফোরক অভিযোগের পর দুর্গাপুরের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য এখনও এই অভিযোগের কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব দেওয়া হয়নি।