কেরল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি (কেপিসিসি)-র সভাপতি সানি জোসেফ এবং অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি (এআইসিসি)-র কেরল ইনচার্জ দীপা দাস মুন্সি দিল্লিতে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। কেরল কংগ্রেসের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক মতপার্থক্য এবং সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে যখন আলোচনা চলছে, তখন এই বৈঠককে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সানি জোসেফ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের জানান, এই আলোচনা সম্পূর্ণ ইতিবাচক ছিল। তিনি বলেন, “আমরা তার আগের কোনো বক্তব্য নিয়ে আলোচনা করিনি। দলের শক্তি বাড়ানোর জন্য আমরা বিভিন্ন প্রস্তাব ও মতামত বিনিময় করেছি। বৈঠকে কেরলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে কথা হয়েছে।”
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, কেরলের অন্যতম জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের কিছু মন্তব্য ও অবস্থানকে কেন্দ্র করে রাজ্যের কংগ্রেস শিবিরে অতীতে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। এই কারণে অনেকে মনে করছেন, এই বৈঠকটি মূলত থারুর এবং রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে সম্পর্ক মেরামত করার একটি প্রচেষ্টা।
দীপা দাস মুন্সি, যিনি কেরলে এআইসিসির সাংগঠনিক কাজ তত্ত্বাবধান করেন, বৈঠকের পর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে দলীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি, বুথ-ভিত্তিক শক্তি বৃদ্ধি এবং রাজ্যের শাসক দল এলডিএফ-এর কার্যক্রম মোকাবিলার কৌশল নিয়েই এই বৈঠকের মূল ফোকাস ছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কেরলে কংগ্রেসের ঐক্য এখন খুবই জরুরি। রাজ্যে এলডিএফ সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি এবং বিজেপির ক্রমবর্ধমান প্রভাব রুখতে কংগ্রেসকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে শশী থারুরের মতো জনপ্রিয় নেতার সঙ্গে প্রদেশ নেতৃত্বের ইতিবাচক আলোচনা দলের মনোবল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
কেরলের কয়েকটি জেলায় সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়েও ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্রে খবর, থারুর এবং প্রদেশ নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয় বাড়লে সাংগঠনিক তৎপরতা আরও জোরদার হবে। সব মিলিয়ে, এই বৈঠক কেরল কংগ্রেসে চলমান মতপার্থক্যের মধ্যে একটি নতুন ইতিবাচক বার্তা নিয়ে এসেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।