হরিয়ানায় পুলিশ আধিকারিকদের রহস্য মৃত্যু এবং সন্দেহজনক ঘটনা নিয়ে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। চণ্ডীগড়ে আইপিএস অফিসার ওয়াই পুরান কুমারের মৃত্যু মামলার তদন্ত চলাকালীনই এবার রোহতকে এক সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর (ASI)-এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই দুটি মৃত্যুর মধ্যে যোগসূত্র থাকতে পারে বলে অনুমান করছে পুলিশ।
রোহতকের লাধোত গ্রামের একটি কৃষি জমির কাছে তৈরি একটি ঘর থেকে নিহত এএসআই সন্দীপের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোহতকের পুলিশ সুপার সুরেন্দ্র সিং ভোরিয়া জানিয়েছেন, সন্দীপ হরিয়ানা পুলিশে সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর হিসাবে কাজ করতেন এবং সাইবার সেলে কর্মরত ছিলেন।
এসপি ভোরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, “ইনি আমাদের পুলিশ বিভাগের একজন পরিশ্রমী এএসআই, সন্দীপ। তিনি খুব সৎ ছিলেন। তাঁর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এখানে একটি ফরেনসিক দলকে ডাকা হয়েছে এবং তদন্ত করা হচ্ছে।”
আইপিএস অফিসারের মৃত্যুতে ল্যাপটপেই রহস্য
এই ঘটনাটি সামনে এসেছে চণ্ডীগড়ে আইপিএস অফিসার ওয়াই পুরান কুমারের মৃত্যু মামলার তদন্ত চলাকালীন। গত ৭ অক্টোবর চণ্ডীগড়ে তাঁর বাসভবনে তাঁকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, যা আত্মহত্যা বলে অভিযোগ।
এই মামলার তদন্তকারী বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) অফিসার পুরান কুমারের বিধবা, আইএএস অফিসার আমনীত পি কুমারের কাছে তাঁর মৃত স্বামীর ল্যাপটপ চেয়ে একটি নোটিশ জারি করেছে।
গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ: পুলিশের মতে, অফিসারের মৃত্যুর চলমান তদন্তে ল্যাপটপটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ডিভাইসটিতে কথিত সুইসাইড নোটের মূল খসড়া সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে বলে মনে করছে এসআইটি।
ফরেনসিক পরীক্ষা: সুইসাইড নোটের সত্যতা যাচাই করার জন্য ল্যাপটপটি ডিজিটাল পরীক্ষার জন্য সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে (CFSL) পাঠানোর কথা রয়েছে। তদন্তকারীরা নিশ্চিত করতে চান যে নোটটি পুরান কুমার নিজেই লিখেছেন এবং সেটি তাঁর নিজের ল্যাপটপে তৈরি করা হয়েছিল কিনা।
তবে, আইএএস অফিসার আমনীত পি কুমার এখনও তাঁর প্রয়াত স্বামীর ল্যাপটপ তদন্তকারী দলের কাছে হস্তান্তর করেননি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী মঙ্গলবার আইপিএস অফিসার পুরান কুমারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।