তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দলে বড় ধরনের রদবদল ঘটেছে। দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল সাংসদদের ভার্চুয়াল বৈঠকের পর এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। লোকসভার দলনেতা হিসেবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়োগ করার পর এবার দলের মুখ্য সচেতক এবং উপ-দলনেতা পদেও পরিবর্তন এসেছে।
সোমবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভায় দলের মুখ্য সচেতকের পদ থেকে ইস্তফা দিলে তৃণমূল নেতৃত্ব নতুন করে দায়িত্ব বণ্টন করে। মঙ্গলবার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় নতুন মুখ্য সচেতকের দায়িত্ব পালন করবেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। একইসঙ্গে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়কে লোকসভার উপ-দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে সাংসদ পদে থাকা শতাব্দী রায় পর পর চারবার বীরভূম কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। তিনি দলের অন্যতম সিনিয়র সাংসদ হলেও এতদিন পর্যন্ত দিল্লিতে তাকে বড় কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এবার তাকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হলো।
রাজনৈতিক মহলের মতে, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহুয়া মৈত্রের মধ্যে প্রকাশ্য বিবাদ দলের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে দুইজন মহিলা সাংসদকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এই সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং শতাব্দী রায়কে নতুন দায়িত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।