ভারতের মাটিতে লাগাতার সন্ত্রাসবাদী হামলায় পাকিস্তানের সরাসরি মদতের অভিযোগ এবার যেন হাতে-গরম প্রমাণ পেল। এক ভাইরাল ভিডিওতে পাকিস্তানের এক জনপ্রিয় নেতা চৌধুরী আনোয়ারুল হক প্রকাশ্যেই ঘোষণা করলেন যে, কাশ্মীরের জঙ্গল থেকে শুরু করে খোদ দিল্লির লালকেল্লা পর্যন্ত ভারত বিরোধী আক্রমণে তাঁদের মদত রয়েছে।
সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির কার্যকলাপকে সমর্থন করে চৌধুরী আনোয়ারুল হকের এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি আন্তর্জাতিক মহলে বড়সড় কূটনৈতিক সংকট তৈরি করল।
ভাইরাল ভিডিওতে কী বললেন পাক নেতা?
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে আনোয়ারুল হককে স্পষ্ট বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমি আগে বলেছিলাম, যদি তোমরা (ভারত) বালুচিস্তানে রক্তপাত করতে থাকো, তাহলে আমরা লালকেল্লা থেকে কাশ্মীরের জঙ্গলে আঘাত করব। আল্লাহর রহমতে, আমরা তা করেছি। এখনও মৃতদেহ গণনা শেষ করতে পারেনি ভারত। সশস্ত্র ব্যক্তিরা (দিল্লি) প্রবেশ করে আক্রমণ করেছে।”
-
লালকেল্লার ইঙ্গিত: গত ১০ নভেম্বর দিল্লির লালকেল্লার কাছে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসবাদী হামলার কথাই তিনি উল্লেখ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেই হামলায় ১৪ জন নিহত হন। হামলার মূল পরিকল্পনাকারী জইশ-ই-মহম্মদ সদস্য উমর উন নবি গ্রেফতার হওয়ার পর আরও একাধিক ষড়যন্ত্রকারীর নাম সামনে আসে।
-
কাশ্মীর প্রসঙ্গ: বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কাশ্মীর সংক্রান্ত মন্তব্যটি পহেলগাঁওয়ের হামলার দিকে ইঙ্গিত করছে।
মুখে শান্তির কথা, কাজে সন্ত্রাস: পাক সরকারের দ্বৈত ভূমিকা
পাকিস্তান সরকারের তরফে বরাবরই দাবি করা হয় যে, তারা ভারতের বিরুদ্ধে কোনো সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে সমর্থন করে না। কিন্তু চৌধুরী আনোয়ারুল হকের এই স্বীকারোক্তি শেহবাজ শরিফের সরকারের সেই দাবিকে সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা প্রমাণ করল।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দেনার বোঝা মাথায় নিয়ে দেশ চালাচ্ছেন, এবং দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মূল ইস্যু থেকে সাধারণের মনোযোগ সরাতেই সীমান্তে উস্কানি দেওয়া এবং ভারতকে নিয়ে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি করা পাক সরকারের একটি পুরোনো কৌশল।
তবে দেশের এক প্রথম সারির নেতার এমন খোলাখুলি স্বীকারোক্তি সামনে আসার পর ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।