আসন্ন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্য সরকার একাধিক নতুন প্রকল্পের সূচনা করছে এবং পাশাপাশি পুরনো জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প, যেখানে আর্থিক সুবিধার পাশাপাশি আরও নতুন কিছু সুবিধা যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় সাধারণ মহিলারা মাসিক ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা ১২০০ টাকা করে ভাতা পেয়ে থাকেন। এই আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি এবার এই প্রকল্পে আরও বহু নতুন মহিলাকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, ডিসেম্বর মাস থেকেই নতুন গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ভাতা জমা পড়া শুরু হবে।
বীরভূম জেলার একটি সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের এখানে বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৯ লক্ষ ২৫ হাজার মা-বোনেরা উপকৃত হন। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এখানে কোনও রকম বিধিনিষেধ নেই।” তিনি আরও জানান যে, অন্যান্য রাজ্যে স্কুটি বা পাকা বাড়ি থাকলে ভাতা পাওয়া যায় না, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এমন কোনো শর্ত নেই। এই কারণে আরও বেশি সংখ্যক মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন।
অনেক দিন ধরেই এই প্রকল্পের ভাতা বাড়ানোর জল্পনা চলছিল। শোনা যাচ্ছে, সাধারণ মহিলাদের ভাতা বাড়িয়ে মাসিক ১৫০০ টাকা এবং তপশিলি মহিলাদের জন্য ১৮০০ টাকা করা হতে পারে, যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সরকারি ঘোষণা আসেনি।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “২৫ বছর বয়স থেকে শুরু করে সারাজীবন এই ভাতা মিলবে। মা-বোনেরা নিশ্চিন্তে থাকুন, আমরা যা বলি, তা করি।” তিনি জানান যে, শেষ দফার ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে জমা পড়া আবেদনগুলির ৯০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি ১০ শতাংশ কাজ শেষ হলেই নতুন গ্রাহকরা ডিসেম্বর থেকে ভাতা পেতে শুরু করবেন। এর মধ্য দিয়ে রাজ্য সরকার নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর একটি বড় সুযোগ তৈরি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।