৫ ঘণ্টা পর শুরু হয়েছিল চিকিৎসা, রাতের অন্ধকারে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল দ্বিতীয় আহত হাতিটিও; বাকি ৩ হাতির ঘোরাফেরায় আতঙ্ক
খাবারের খোঁজে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল পাঁচটি হাতির একটি দল। কিন্তু সেই পথ চলায় ধূপগুড়ির ভোটপাড়া এলাকায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় রূপ নিল।
দু’টি হাতির মর্মান্তিক মৃত্যু:
রবিবার ভোরে রেললাইন পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি মালগাড়ির ধাক্কায় গুরুতরভাবে জখম হয় দলের দুই সদস্য।
প্রথম ঘটনায়, আঘাতের পর কিছুদূর এগিয়ে লোকালয়ে পড়েই মৃত্যু হয় একটি দাঁতাল হাতির।
দ্বিতীয় হাতিটি গুরুতরভাবে জখম অবস্থায় রেললাইনের ধারে পড়েছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর তার চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। বন দফতর দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা দিলেও তার অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। গভীর রাতে, প্রায় সাড়ে ন’টা থেকে দশটার মধ্যে দ্বিতীয় হাতিটিরও মৃত্যু হয়।
দুই হাতির এমন নির্মম মৃত্যুতে পুরো এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
স্থানীয়দের ক্ষোভ ও আতঙ্ক:
দুর্ঘটনার পর আহত হাতিটিকে ঘিরে দলের বাকি তিন সদস্য পাহারা দিচ্ছিল। কখনও ঘটনাস্থলের আশপাশে, কখনও গ্রামাঞ্চলে তাদের ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এই দৃশ্য দেখে স্থানীয় শিশু ও বৃদ্ধরা আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরোতে সাহস পাননি।
তবে সবচেয়ে বড় ক্ষোভ জমেছে স্থানীয়দের মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ:
এই রেললাইনের ওপর দিয়ে প্রায়ই হাতির দল যাতায়াত করে, কিন্তু রাতের বেলায় দ্রুতগতির মালগাড়ি চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে।
বহু বছর ধরে একই সমস্যা চললেও আজ পর্যন্ত স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়নি।
দুই হাতির মৃত্যুতে সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। তাঁদের প্রশ্ন, “এই নির্মম মৃত্যুমিছিল আর কবে থামবে?” পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বন দফতর সতর্ক রয়েছে।