২০২৫ সালে শেয়ার বাজারে অস্থিরতা থাকলেও মূল্যবান ধাতুগুলি বিনিয়োগকারীদের জন্য সোনার খনি হয়ে উঠেছে। এ বছর সোনা প্রায় ৭০ শতাংশ রিটার্ন দিলেও সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে রুপো। প্রায় ১৩০ থেকে ১৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে রুপো এ বছরের ‘সেরা সম্পদ’ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি রুপোর দাম প্রায় ২ লক্ষ টাকায় পৌঁছেছে। মূলত সৌরশক্তি ও বৈদ্যুতিক যানবাহনে ব্যাপক চাহিদাই এই দাম বৃদ্ধির কারণ।
তবে পর্দার আড়ালে বড় চমক দিচ্ছে তামা। খুব বেশি আলোচনা না হলেও এ বছর তামা প্রায় ৩৬ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা তামাকে বাজারের “পরবর্তী রাজা” হিসেবে অভিহিত করছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং ডিজিটাল পরিকাঠামো বিস্তারের ফলে ডেটা সেন্টারগুলোতে তামার চাহিদা তুঙ্গে। রয়টার্সের সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৫ সালে প্রায় ১,২৪,০০০ টন তামার ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা ২০২৬ সালে দেড় লক্ষ টন ছাড়িয়ে যাবে। ফলে সোনা-রুপোর মতোই আগামী দিনে তামা নতুন রেকর্ড গড়তে চলেছে বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।