নতুন দল ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’ (JUP) আত্মপ্রকাশের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রার্থী বদল করে চমক দিলেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে নিশা চট্টোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করার পরেই উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। নিশার বেশ কিছু ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হতেই হুমায়ুন কবীর জানিয়ে দেন, ওই ধরনের ‘সংস্কৃতি’ তাঁর দলের আদর্শের পরিপন্থী। তাই নিশাকে সরিয়ে বালিগঞ্জে প্রাক্তন পুলিশ অফিসার আবুল হাসানকে প্রার্থী করা হয়েছে।
হুমায়ুন কবীর স্পষ্ট বলেন, “বিধানসভা একটি পবিত্র জায়গা। সমাজমাধ্যমে যে ধরনের অঙ্গভঙ্গি নিশার ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, তা অযোগ্য। আমি চাই না আমার দলের শুরুটা এমন কোনও বিতর্ক দিয়ে হোক।” তাঁর দাবি, তৃণমূলের আইটি সেল এই ভিডিওগুলি ভাইরাল করেছে যাতে মানুষ তাঁর দলকে ভুল বোঝে। তাই তড়িঘড়ি প্রার্থী বদলে ওই কেন্দ্রে একজন মুসলিম প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
অন্যদিকে, এই সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নিশা চট্টোপাধ্যায়। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার ছবি আসলে একটি অজুহাত মাত্র। নিশার দাবি, তিনি হিন্দু বলেই তাঁকে দল থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, “ব্যক্তিগত জীবন সেন্সর করার অধিকার কারও নেই। আমি নিজে প্রার্থী হতে চাইনি, হুমায়ুন কবীরই আমাকে রাজনীতিতে ডেকে এনে এখন সামাজিকভাবে হেনস্থা করছেন।” ধর্মনিরপেক্ষতার দাবি করা হুমায়ুনের দল আদতে সাম্প্রদায়িক কি না, তা নিয়ে এখন রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।