গুরুগ্রাম: সাতসকালে ব্যস্ত রাস্তার মাঝে হুলুস্থুল! স্কুলভ্যান আটকে বন্দুক উঁচিয়ে এক ছাত্রকে অপহরণের চেষ্টা করল একদল যুবক। তবে শেষ রক্ষা হল না। পুলিশের জালে ধরা পড়ার পর জানা গেল, হিরোগিরি দেখাতে যে বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটি আসলে একটি খেলনা পিস্তল! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার হরিয়ানার গুরুগ্রামে।
তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই ৪ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। আশ্চর্যের বিষয় হল, ধৃতরা প্রত্যেকেই কলেজের ছাত্র।
🔫 কী ঘটেছিল সেই দিন?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন ধ্রুব ধানিয়া নামে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে সে যখন স্কুলভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিল, তখনই হঠাৎ দুটি ‘ফরচুনার’ গাড়ি এসে ভ্যানটির পথ আটকায়। গাড়ি থেকে নেমে ৪ জন যুবক বন্দুক উঁচিয়ে ভ্যানে থাকা পড়ুয়াদের আতঙ্কিত করে তোলে।
অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা স্কুলভ্যানের কাচ ভেঙে ধ্রুবকে টেনে নামানোর চেষ্টা করে এবং তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ভ্যানের চালক বুদ্ধি খাটিয়ে গাড়িটি দ্রুত কাছের একটি পুলিশ ফাঁড়ির দিকে নিয়ে যান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই অভিযুক্তরা ফরচুনার নিয়ে চম্পট দেয়।
🚔 তদন্তে উঠে এল আসল রহস্য
ধ্রুবর বাবা অশোক ধানিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গ্রেফতার করা হয় পঙ্কজ (২৩), নীরজ (২০), প্রিন্স (২০) এবং হিমাংশু (২২) নামে চার কলেজ পড়ুয়াকে। জেরায় জানা গিয়েছে, ধ্রুবর পরিবারের সঙ্গে মূল অভিযুক্ত পঙ্কজের ভাই লক্ষ্মণের পুরনো শত্রুতা ছিল। সেই ঝামেলার শোধ তুলতেই খেলনা বন্দুক নিয়ে ধ্রুবকে ভয় দেখানো এবং অপহরণের ছক কষেছিল তারা।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি বিলাসবহুল ফরচুনার গাড়ি, একটি লাঠি এবং সেই খেলনা বন্দুকটি বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।