রাশিয়ার তেল কেনাকে কেন্দ্র করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত-বিরোধী শুল্কনীতি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ভারতের ওপর ৫০% শুল্ক আরোপ করা হলেও চিন এবং তুরস্কের ওপর যথাক্রমে ৩০% এবং ১৫% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা স্পষ্টতই এক ধরনের বৈষম্য। এই পরিস্থিতিতে চিনের তীব্র প্রতিক্রিয়া এবং ভারতের কড়া অবস্থান, এই তিন দেশের মধ্যে এক জটিল রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি করেছে।
চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন পদক্ষেপকে ‘বাণিজ্য ব্যবস্থার অপব্যবহার’ বলে সমালোচনা করেছে, যা আদতে নিজেদের সুবিধাজনক অবস্থান ধরে রাখার এক কৌশল। ট্রাম্প যখন চিনকে ভারতের সমতুল্য বলে চিহ্নিত করছেন, তখন চিন এই মন্তব্যের মাধ্যমে নিজেকে নিরপেক্ষ প্রমাণ করতে চাইছে।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এই পদক্ষেপকে অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, ভারতের তেল কেনার সিদ্ধান্ত দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে। ভারত নিজের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় কোনো তৃতীয় দেশের চাপের কাছে নত হবে না। তবে ট্রাম্পের এই বৈষম্যমূলক নীতি ভারতের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াচ্ছে এবং একই সঙ্গে চিন ও আমেরিকার মধ্যে কৌশলগত প্রতিযোগিতা আরও তীব্র করছে। আগামী দিনে এই শুল্কযুদ্ধ শুধু বাণিজ্যিক সম্পর্কই নয়, বরং ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণকেও প্রভাবিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।