২০২৫ সালের শ্রাবণ শিবরাত্রি, যা পড়েছে বুধবার, এক বিরল জ্যোতিষীয় ঘটনাবলির সাক্ষী হতে চলেছে। দীর্ঘ ২৪ বছর পর একই দিনে একাধিক শুভ গ্রহ-যোগের মিলন ঘটতে চলেছে যা শাস্ত্রমতে অতি পুণ্যসঞ্চয়কারী এবং ভাগ্যোন্নতিকারক বলে বিবেচিত।
২০০১ সালের ১৮ জুলাই, শিবরাত্রির দিনেও একই রকম জ্যোতিষীয় পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল। আর এবার ২৪ বছর পর, ২০২৫ সালে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে, তবে আরও শক্তিশালী গ্রহ-যোগের মাধ্যমে।
✦ কোন কোন শুভ যোগ তৈরি হচ্ছে?
এই বছরে শিবরাত্রিতে মালব্য রাজযোগ, গজকেশরী যোগ, বুধাদিত্য যোগ, ও শক্তিশালী ত্রিগ্রহ সংযোগ (সূর্য-শুক্র-বৃহস্পতি) ঘটছে, যা বহু রাশির জাতকদের জীবনে শুভ পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এই সংযোগগুলির প্রভাবে বহু মানুষ তাদের জীবনে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সমস্যা থেকে মুক্তি, অর্থসাফল্য, এবং মানসিক প্রশান্তি লাভ করবেন বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে।
▣ বৃষ রাশি:
শুক্রের অবস্থানে মালব্য রাজযোগ তৈরি হচ্ছে। এই রাশির জাতকরা আর্থিক সাফল্য পাবেন। জমি, সম্পত্তি কেনার সম্ভাবনা প্রবল। বহুদিনের ইচ্ছা পূরণ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে উন্নতি ও পারিবারিক সুখ লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।
▣ মিথুন রাশি:
চন্দ্র ও বৃহস্পতির মিলনে গজকেশরী রাজযোগ। এই সময়ে মিথুন রাশির মানুষদের সম্মান ও পদোন্নতি সম্ভাব্য। ব্যবসায় মুনাফা, চাকরিতে প্রশংসা ও সুযোগ আসতে পারে। এ সময় বিদেশ সংক্রান্ত পরিকল্পনাও সফল হতে পারে।
▣ কর্কট রাশি:
বুধ ও সূর্যের মিলনে বুধাদিত্য যোগ গঠিত হচ্ছে। বুদ্ধিমত্তা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতায় উন্নতি হবে। সরকারি চাকরি ও নতুন প্রজেক্টে সুযোগ আসবে। জ্ঞানচর্চায় আগ্রহ বাড়বে, পারিবারিক পরিমণ্ডলেও সম্মান লাভের সম্ভাবনা।
▣ বৃশ্চিক রাশি:
শুক্রের প্রভাবে মালব্য রাজযোগ এই রাশিতে আর্থিক উন্নতি, বিলাসবহুল জীবন এবং সৃজনশীল ক্ষেত্রে সাফল্য আনতে পারে। দাম্পত্য সম্পর্ক মজবুত হবে। শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা নাম-যশ পাবেন। নতুন যানবাহন ক্রয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে।
▣ ধনু রাশি:
চন্দ্র ও বৃহস্পতির প্রভাব এখানে গজকেশরী যোগ তৈরি করেছে। সমাজে সম্মান, ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে সাফল্য, এবং উচ্চপদে উন্নতির সম্ভাবনা। অনেকে বিদেশযাত্রার সুযোগ পেতে পারেন, সন্তান লাভের আশা পূরণ হতে পারে।
এই শ্রাবণ শিবরাত্রিতে, যারা সত্য মন থেকে উপাসনা করবেন এবং মহাদেবের কৃপা লাভের আশায় ব্রত পালন করবেন, তাঁদের জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও মানসিক শান্তি নিশ্চিত হতে পারে।
(দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্র ও জনপ্রিয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে লেখা। পাঠকের বুদ্ধিমত্তা ও বিচারবোধ প্রয়োগ করাই শ্রেয়।)