বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে শুক্র গ্রহকে (Venus) বিলাসবহুল জীবন, অর্থ, সৌন্দর্য ও সাফল্যের কারক বলে মনে করা হয়। কোনও জাতক-জাতিকার জন্মছকে শুক্র যদি শুভ অবস্থানে থাকে, তবে তাঁদের জীবনে সুখ-সমৃদ্ধির অভাব হয় না। জ্যোতিষ মতে, দেবগুরু বৃহস্পতির পরেই সবথেকে শুভ গ্রহ হলো শুক্র। এই গ্রহ প্রায় ২৩ দিন সময় নেয় এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে যেতে।
জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, শুক্র গ্রহ সবসময়ই ৩টি রাশিকে বিশেষ সুনজরে দেখেন। এই রাশিদের উপর সর্বদাই থাকে ধন ও সমৃদ্ধির দেবী মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ। কারা সেই সৌভাগ্যবান রাশি? দেখে নিন:
১. বৃষ রাশি (Taurus)
বৃষ রাশির গ্রহ অধিপতিই হলেন শুক্র (Venus)। ফলে এই রাশির জাতক-জাতিকারা জন্মগতভাবেই শুক্রের আশীর্বাদ নিয়ে আসেন।
- সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি: মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সবসময় এই রাশির উপর থাকে, তাই এঁদের জীবনে অর্থ ও সাফল্যের অভাব হয় না।
- ব্যক্তিত্ব: এঁরা বুদ্ধিমান ও পরিশ্রমী হন। পাশাপাশি, এঁদের শারীরিক সৌন্দর্য থাকে চোখে পড়ার মতো এবং এঁরা সহজেই অন্যদের আকর্ষণ করতে পারেন।
- আচরণ: বৃষ রাশির জাতকরা সুন্দর জামাকাপড় পরতে ভালোবাসেন এবং নিজেদের আসল বয়সের চেয়ে ছোট দেখান। এঁরা যেখানেই যান, সেখানেই একটি আলাদা পরিচিতি তৈরি করেন।
২. তুলা রাশি (Libra)
বৃষ রাশির মতো তুলা রাশিরও গ্রহ অধিপতি হলেন শুক্র (Venus)। তাই এই রাশির জীবনেও সব ধরনের আরাম ও বিলাসিতা আসে শুক্রের কৃপায়।
- বিলাসিতা ও দক্ষতা: এঁরা জীবনে সমস্ত আরাম ও বিলাসিতা লাভ করেন।
- সিদ্ধান্ত গ্রহণ: তুলা রাশির জাতকরা বুদ্ধিমান ও নিজেদের কাজে অত্যন্ত দক্ষ হন। এঁদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার খুব ভালো ক্ষমতা থাকে।
- অধ্যবসায়: এঁরা যে কাজ একবার করবেন বলে ঠিক করেন, তা নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করেই ছাড়েন। জীবনে লক্ষ্য অর্জনে এঁরা অত্যন্ত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
৩. মীন রাশি (Pisces)
মীন রাশির জাতকদের উপরেও শুক্র গ্রহের শুভ প্রভাব থাকে। যদিও মীন রাশির অধিপতি বৃহস্পতি, তবুও শুক্রের আশীর্বাদে এঁদের জীবন সুখকর হয়।
- সৃজনশীলতা: এই রাশির জাতকদের মধ্যে সৃজনশীলতা (Creativity) খুব ভালো থাকে। এঁরা যে কাজই করুন না কেন, সেই কাজে খ্যাতি অর্জন করেন।
- উদারতা: মনের দিক থেকে এঁরা খুব ভালো ও উদার প্রকৃতির হন।
- সংকল্প: মীন রাশির জাতকরা একবার যা করবেন বলে ঠিক করেন, যে কোনও উপায়ে তা সম্পন্ন করেই ছাড়েন। এঁদের সংকল্প ক্ষমতা খুব জোরালো হয়।
(দ্রষ্টব্য: এই রাশি সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণরূপে জ্যোতিষ ও লোকমতভিত্তিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই এবং এটি কোনো সম্পাদকীয় বিশ্লেষণ বা চূড়ান্ত সুপারিশ নয়।)