অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাম মন্দিরের চূড়ায় গেরুয়া পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানকে নিশানা করে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক ভারতের সংখ্যালঘুদের বিষয়ে আগ বাড়িয়ে মন্তব্য করায়, পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিল নয়া দিল্লি। বুধবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছে, সংখ্যালঘুদের নিয়ে কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকার পাকিস্তানের নেই।
পাকিস্তানের মন্তব্য:
মঙ্গলবার অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের সমাপ্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে মন্দিরের চূড়ায় গেরুয়া ধ্বজা ওড়ান। এই অনুষ্ঠানকে নিশানা করে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক মন্তব্য করে, ভারতে সংখ্যালঘুরা বিপন্ন এবং তাদের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় স্থানগুলি অবহেলার শিকার।
ভারতের কড়া জবাব:
পাকিস্তানের এই মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি বলেন:
“ইসলামাবাদের এই ধরনের প্রতিক্রিয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং উস্কানিমূলক। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর কোনো অধিকার পাকিস্তানের নেই।”
তিনি আরও বলেন, গোটা বিশ্ব জানে সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর কী ধরনের নিপীড়ন নির্যাতন চলছে। এই প্রসঙ্গে জয়সওয়াল পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের বিষয়ে কথা বলার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
-
পরামর্শ: মুখপাত্র পাকিস্তানকে পরামর্শ দেন, তাদের বরং দেশে বিপন্ন মানবাধিকার এবং সংখ্যালঘুদের ধর্মাচরণের অধিকার পুনরুদ্ধারের বিষয়ে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালানো উচিত।
-
নৈতিক অধিকার: তিনি স্পষ্ট বলেন, “সে দেশে সংখ্যালঘুরা সংখ্যাগুরুদের গোঁড়ামির শিকার। পাকিস্তান তাই সংখ্যালঘু স্বার্থ নিয়ে কথা বলার অধিকার হারিয়েছে।”
অযোধ্যার অনুষ্ঠানের তাৎপর্য:
প্রসঙ্গত, রাম মন্দির নির্মাণের সমাপ্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার অযোধ্যায় বিপুল ভক্ত সমাগম হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ভাষণে রাজধর্মের উল্লেখ করে বলেন, ভগবান রাম কোনো ভেদাভেদ করতেন না। সেই ভাবনা নিয়েই বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বিশ্বাস করে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার পর ৫০০ বছরের আইনি বিবাদের পরিসমাপ্তি ঘটে।