কলকাতা। বছর ঘুরলেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। সেই লক্ষ্যেই পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি শিবিরে এবার প্রচারের জন্য মেগা বাজেট নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রের দাবি, সংগঠন এবং প্রচার মিলিয়ে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির মোট খরচের অঙ্ক ১ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়ে যেতে পারে।
দিল্লির হাতে খরচের রাশ:
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, প্রচারের আর্থিক ব্যয়ের রাশ এবার রাজ্য নেতৃত্বের হাতে থাকছে না। প্রচার থেকে বুথস্তরের খরচ—সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হবে দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদনে। কোন বিধানসভায় কত টাকা বরাদ্দ, কোথায় কত খরচ—সব কিছুতে এবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ছাপ থাকবে।
-
তদারকি: কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান নির্বাচনের সময় বাংলায় থাকবেন এবং প্রচারের খরচ থেকে সংগঠনের ব্যয়—প্রতিটি খাতে তাঁর অনুমোদন বাধ্যতামূলক। ইতিমধ্যেই ভূপেন্দ্র যাদবকে নির্বাচনী কমিটির প্রধান করা হয়েছে এবং সাংগঠনিক তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল।
খরচের অঙ্ক দ্বিগুণ:
যে আসনগুলিকে বিজেপি ‘জয়ের লক্ষ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সেগুলিতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। অর্থাৎ, সাধারণ একটি আসনে গড় বরাদ্দ যেখানে প্রায় এক কোটি, সেখানে লক্ষ্যভিত্তিক আসনে খরচ কয়েকশো কোটি টাকায় চড়ে যাচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী ও শীর্ষ নেতাদের সভা, সফর, হেলিকপ্টার ও পাঁচতারা হোটেলের খরচ সরাসরি দিল্লি কেন্দ্র বহন করছে, যা রাজ্য কমিটির বাজেটে ধরা হচ্ছে না।
নতুন কমিটি এবং পুরনো মুখ:
অন্যদিকে, ২০ থেকে ২২ নভেম্বরের মধ্যেই বঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করতে পারেন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, নতুন কমিটিতে অনেক পুরনো মুখ ফিরতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখা মিলতে পারে সায়ন্তন বসু, রীতেশ তেওয়ারি, রাজকমল পাঠক এবং রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির ব্যয় ছিল একশো কোটি টাকার সামান্য বেশি। তার তুলনায় এবার বাজেট কয়েক গুণ বাড়ানো হলেও দলের অভ্যন্তরেই প্রশ্ন উঠছে—এত অর্থ ঢেলে ফল কি মিলবে?