রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতো রাজপুর-সোনারপুর পুরসভাও বৃষ্টির জল এবং অকার্যকর নিকাশি ব্যবস্থার কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার। যদিও বৃষ্টি কমেছে, তবুও পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড, বিশেষ করে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিশন পল্লী এখনও জলমগ্ন। এর ফলে স্বাভাবিক জনজীবন সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে পড়েছে।
মিশন পল্লীর মূল মোড়ে একটি এটিএম কাউন্টার পুরোপুরি জলের নিচে চলে গেছে এবং তার পাশে অবস্থিত একটি চালের দোকানে জল ঢুকে যাওয়ায় দোকানদার ভিজে চাল বিনামূল্যে বিলি করছেন। এই ছবি থেকে এলাকার মানুষের অসহায়তার মাত্রা সহজেই অনুমেয়।
কোমরসমান জলের কারণে বাইক, স্কুটি ও ছোট প্রাইভেট গাড়ি চলাচল বন্ধ। যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ভ্যান হলেও, তার জন্যও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। অনেকেই এই অতিরিক্ত খরচ এড়াতে জল ভেঙে হেঁটেই যাতায়াত করছেন। স্থানীয়দের দাবি, এই জমা জল নামতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে, যা তাদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বোসপুকুর এলাকায় জমা জলের আরও এক ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। রাস্তার জমা জলে পুকুরের মাছ উঠে আসায় স্থানীয় বাসিন্দারা জাল ও ছিপ নিয়ে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন। এই দৃশ্য স্থানীয়দের মধ্যে আনন্দ দিলেও, এটি মূলত এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতার ইঙ্গিত দেয়।
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব কুমার দাস জানান, নতুন একটি নর্দমা তৈরি করা হয়েছে, যা খালের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাঁর দাবি, এই নর্দমা দিয়ে জল দ্রুত সরছে। তিনি আরও বলেন, লাগাতার বৃষ্টির কারণেই পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়েছে। তবে, পুরসভার পক্ষ থেকে পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে তিনি আশ্বাস দেন।